আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যান্ড আরোপ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো ভাটা পড়বে না।
রোববার সচিবালয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য অধিদফতরের বিশেষ প্রকাশনা ‘মা ও শিশু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক এবং তারা আমাদের উন্নয়নের সহযোগী। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী উপকৃত হয়েছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনেও তারা সহযোগিতা করেছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বনেটওয়ার্কেও আমাদের সুসম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অভ্যন্তরে প্রতিবছর ক্রমাগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাদের কাস্টরিতে যে সংখ্যক কয়েদির মৃত্যু হয় তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে। বন্দিদের টর্চার করা হয় সেটা নিয়েও বিশ্বে সমালোচনা রয়েছে।
‘ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শরণার্থীরা যখন বর্ডারক্রস করার চেষ্টা করেছে, তখন মায়ের কাছে থেকে তাদের সন্তানদেরকে আলাদা করে বছরের পর বছর রাখা হয়েছে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিবাদ হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন যেভাবে গলার উপর পা দিয়ে হত্যা করেছে, এমন কোনো ঘটনা বাংলাদেশের ঘটেনি। আমাদের দেশে জঙ্গি দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও অনেক হামলাকারী জঙ্গিদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এটা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হয়েছে। তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে বড় কোনো দেশ ব্যান্ড আরোপ করে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো ভাটা পড়বে না- যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।