গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় মুজিববর্ষের ঘর তৈরি করে দরিদ্র মানুষের প্রশংসায় ভাসছে কোটালীপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।
স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আওয়ামীলীগ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে একটি করে আধাপাকা ঘরসহ দুই শতাংশ জমি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এই মহতী কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)সহ সংশ্লিষ্টদের। তারই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চারটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাধ্যমে ৬৪টি ঘরসহ মোট ১৩৫টি ঘর নির্মান স¤পন্ন করেছে।
সরকারি এই ঘরগুলোর নির্মাণ কাজের গুনগত মান ভাল হওয়ায় সুফল ভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম মাহফুজুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুর রহমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কোটালীপাড়ার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনকালে সুফল ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এমনি তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন আমাদের জেলা প্রতিনিধি মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন।
এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুর রহমান বলেন, প্রকল্পটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবেগ জড়িত আমরা এখানে একচুলও ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করিনি। আশ্রয়ণের সুফল পাওয়া দরিদ্র ওই সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অপর দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহনির্মান কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাশেদুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলাউদ্দিনের বিরূদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এরইমধ্যে ওই উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। যে ব্যাপারে দৈনিক নবচেতনায় সংবাদ প্রকাশের পর এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ কয়েকটি দপ্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মুজিববর্ষের ঘরে অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে একচুলও ছাড় না দেওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত ওই সকল অভিযুক্ত অফিসারগণ স্বপদেই বহাল রয়েছেন।