করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত পরিসরে দেশে লকডাউন চলছে। এ বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া দ্বিতীয় কেউ থাকলেই পুলিশের জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, সরকার নির্দেশিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নেই কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। আইন অমান্যের অভিযোগে জরিমানা ও মামলা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডি-৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেলের ওপর ট্রাফিক পুলিশের কঠোর নজরদারি রাখতে দেখা যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জারি করা নির্দেশনায় রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম সীমিত সময়ের জন্য স্থগিত রেখেছে উবার, পাঠাও, সহজসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা এরই মধ্যে অ্যাপস সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তি রাইড শেয়ার করছেন। অথবা কেউ কেউ পেশাগত কারণেও রাইড শেয়ার করছেন। ফলে একই হেলমেট বারবার বিভিন্ন মানুষ ব্যবহার করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে বনানীমুখী আফজাল হোসেন তপু নামের এক চালক বলেন, মোটরসাইকেলে সহকর্মীকে নিয়ে অফিসে যাচ্ছিলাম। আমাকে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর এখন আবার ১২শ টাকার মামলা দিয়েছে। আমি অফিসেও যেতে পারলাম না, আর এখানেও মামলা খেতে হলো। লকডাউন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য কষ্ট ছাড়া আর কিছুই না।
জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের উপ-কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, কাউকে হয়রানি নয় কেবল সরকারি নির্দেশনার যথার্থ বাস্তবায়নে চেষ্টা করা হচ্ছে।