জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবাদ একটি বড় হুমকি এবং এটি ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্তরায়।
তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংহতি ও সকল স্তরে একতাবদ্ধ প্রচেষ্টা।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশলের উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় তিনি একথা বলেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
রাবাব ফাতিমা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রয়েছে অটল রাষ্ট্রীয় নীতি।
তিনি জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল বাস্তবায়নে কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিষয়ক মহাসচিবের প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানান। এক্ষেত্রে তিনি কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে সৃষ্ট ইনফোডেমিক, ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও জাতিগত বিদ্বেষের মতো সন্ত্রাসবাদের নব্য ধারার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার উপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিবিড় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো সক্ষমতা বিনির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে জাতিসংঘ থেকে যথোপযুক্ত সহায়তা পাবে।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল গ্রহণ করে। বর্তমানে কৌশলটির ৭ম দ্বিবার্ষিক রিভিউ চলমান রয়েছে যা ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হবে।