নরসিংদী জেলায় চলতি ২০২০ -২০২১ মৌসুমে ৫৫ হাজার ৩১১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ৩০৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি হয়েছে। জেলার রবি মৌসুমে বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যা ও জমি প্রস্তুতি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কিছু কিছু এলাকায় বোরো লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। আরও কিছু দিন পর পুরোপুরি শুরু হবে ধান লাগানো। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হতেপারে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫৫ হাজার ৩১১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল (উফসী) জাতের ৪৮৯১৪ হেক্টর, হাইব্রীড জাতের ৬০০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩৯৭ হেক্টর। বোরো চাষ সফল করতে ২৭১৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এ বছর অর্জিত হয়েছে ৩৩১৭ হেক্টর জমিতে। বীজগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৮,২৯, ৫০, ৫৮, ৬৩, ৬৭, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৮ ৮৯, ৯২, বীনা ২৪ প্রভৃতি । বোরো চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্তাবধানে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শোভন কুমার ধর। জেলায় বোরো চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সারের চাহিদা নির্ধারণের মধ্যে ইউরিয়া ১৬৩৬৫ মেট্রিক টন, টি এস পি ৬২০১ মেট্রিক টন, এম ও পি ৬৯৬১ মেট্রিক টন, জিপসাম ৪০০৫ মেট্রিক টন, জিংক সার, ৪৬৪ মেট্রিক টন, ডি এপি ৬৬১৫ মেট্রিক টন। রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান বলেন, বোরো চাষ সফল করতে আমরা রায়পুরায় ১৮৬০ জন কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রীড বীজ প্রদান করেছি। তাছাড়া ৫০ একর জমিতে ট্রেতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। তিনি বলেন আমরা এ বছর বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার আশা করছি।নরসিংদীতে এ বছর বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন। তিনি আরো বলেন বোরো আবাদ সফল করতে শুকনো বীজতলা উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং নরসিংদীতে ২৫ হেক্টর জমিতে শুকনো বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, আমরা কৃষকদের হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করছি। উচচফলনশীল জাতের ব্রী ধান ৫০, ৬৩, ৬৪, ৮৯, ৯২ জাতগুলো যাতে কৃষকদের নাগালে দিতে পারি সেই ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি ব্রী ধান ২৮ চাষ করার পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল জাতে বোরো ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করছি। কারন গত একু দেড় বছর যাবৎ ব্রী ধান ২৮ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেন বোরো চাষে অধিক ফলন লাভের জন্য আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। তিনি আরো বলেন, বোরো চাষ সফল করতে নরসিংদী জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে।