সিরিজের খেলা শুরু হতে বাকি এক মাসের বেশি সময়। এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির নানান আলোচনা। যেখানে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। যিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলেন ভারতীয় পেস বোলারদের।এরই মধ্যে রানমেশিন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা স্মিথের বিপক্ষে শর্ট লেন্থ ডেলিভারি তথা বাউন্সারের কার্যকারিতা অন্য যেকোনো ডেলিভারির চেয়ে বেশি। যার প্রমাণ মিলেছে করোনার কারণে বন্ধ হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ টেস্ট সিরিজে।সেই সিরিজে স্মিথের বিপক্ষে একগাদা বাউন্সার নিয়ে হাজির হন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার নেইল ওয়াগনার। এই পরিকল্পনায় আসে সফলতাও। সেই সিরিজের তিন ম্যাচে চার ইনিংসে বাউন্সারেই ধরা পড়েন স্মিথ। দুইবার স্কয়ার লেগ, একবার লেগ গালি ও একবার আউট হন গালির হাতে ক্যাচ দিয়ে।তবে তাই বলে যে বাউন্সার সামলে রান করতে পারেননি স্মিথ, এমনটা কিন্তু নয়। ওয়াগনারদের একের পর এক বাউন্সার সামলেও সেই সিরিজে ৪২.৮০ গড়ে রান করেছিলেন। ব্যাট হাতে কোনো সেঞ্চুরি তিনি করতে পারেননি, তবে অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন স্মিথ।কঠিন কন্ডিশন ও শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে খেলেও তিন ম্যাচের প্রতিটিতে প্রথম ইনিংসে ৪০০+ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৩৪.১৩ স্ট্রাইকরেটে রান করে ইনিংসটা ধরে রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন স্মিথ। রান কম করলেও, নতুন ভূমিকায় সফল হওয়ার সন্তুষ্টি ছিল স্মিথের মধ্যে।কিউইদের বিপক্ষে সেই সিরিজের কারণে ভারতীয় দলও যে এমন বাউন্সার পরিকল্পনা নিতে পারে, তা বেশ ভালোভাবেই জানা স্মিথের। তাই তিনিও ভারতীয় পেসারদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন, বাউন্সার আসলে আসুক, তিনি প্রস্তুত আছেন। কেননা তিনি পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কাজটা বেশ ভালোই পারেন।বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ শুরুর প্রায় মাসখানেক আগে নিউজ কর্পকে স্মিথ বলেছেন, ‘আমার জন্য এটা (বাউন্সার সামাল দেয়া) নতুন কিছু নয়। আমি নিজের খেলা খেলে যাই এবং প্রতিপক্ষ যে পরিকল্পনা সাজায় সেটার প্রতি আক্রমণ করার চেষ্টা করি। বেশ কয়েকটি দল আগেও আমার বিপক্ষে বাউন্সার নিয়ে চেষ্টা করেছে। তবে ওয়াগনারের মতো তারা পারেনি। সে (ওয়াগনার) বাউন্সারে বিশেষ পারদর্শী, সবগুলো বল বুক থেকে মাথার মধ্যে থাকে।’এই একই পরিকল্পনা যদি ভারত নেয়, তাতেও সমস্যা নেই স্মিথের, ‘যদি অন্যান্য দলগুলোও আমাকে আউট করতে এই পরিকল্পনা নেয়, তাহলে তাদের কাজটা সহজ হতে চলেছে। কেননা বাউন্সার সামাল দিতে শারীরিকভাবে অনেক কিছু পোহাতে হয়। আমার জীবনে অনেক শর্ট বল খেলেছি। তাই এটা নিয়ে আমার সমস্যা নেই। অপেক্ষায় আছি, সামনে কী আছে দেখার।’
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের সূচি
প্রথম টেস্ট – ১৭ ডিসেম্বর, অ্যাডিলেইড (দিবারাত্রি)
দ্বিতীয় টেস্ট – ২৬ ডিসেম্বর, মেলবোর্ন
তৃতীয় টেস্ট – ৭ জানুয়ারি, সিডনি
চতুর্থ টেস্ট – ১৫ জানুয়ারি, ব্রিসবেন