রাজধানীর আদাবরের যে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কর্মচারীদের পিটুনিতে এএসপি আনিসুল করিম নিহত হয়েছেন, সেটির কোনো লাইসেন্স নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া ‘মাইন্ড এইড’ নামের ওই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রটি এতদিন মানসিক চিকিৎসক ছাড়াই চলছিল। কোঅর্ডিনেটর, কোম্যানেজার ও ওয়ার্ডবয়দের দিয়ে হাসপাতাল চালাচ্ছিল পরিচালক পর্ষদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হাসপাতালটির কোনো কাগজপত্র নেই, ডাক্তার নেই। এ ধরনের হাসপাতাল চালানোর জন্য যেসব লাইসেন্স থাকা দরকার, তা নেই। মাদকদ্রব্য অধিদফতরের কোনো লাইসেন্সও তাদের নেই।
ডিসি হারুন বলেন, হাসপাতালটির পরিচালক পর্ষদ কোঅর্ডিনেটর, কোম্যানেজার ও ওয়ার্ডবয়দের দিয়ে হাসপাতাল চালাচ্ছিল; যারা মেডিকেলে লেখাপড়া করেনি। আমরা সবাইকে গ্রেফতার করেছি। এখন তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
‘হাসপাতালটিতে একজন রোগী আছে। তিনি চলে গেলে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল থেকে হঠাৎ করে রোগীটা কীভাবে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চলে গেল? এ দুই হাসপাতালের সঙ্গে কোনো দালাল জড়িত আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
মাইন্ড এইড হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ডিসি হারুন বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
হাসপাতালের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তের পর বিস্তারিত সব জানানো হবে।