লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে বিদায় করে দিয়ে কোয়ালিফায়ার-২ এর টিকিট পেতে করতে হতো ১৩২ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই অল্প রান তাড়ার পথে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আবুধাবির উইকেটের ধীরগতি। যা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জমিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু, চাপ বাড়িয়েছিল হায়দরাবাদের ওপর।শেষপর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি ব্যাঙ্গালুরু। একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজ দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হায়দরাবাদের কিউই তারকা কেন উইলিয়ামসন। ব্যাঙ্গালুরুর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হায়দরাবাদের রানের চাহিদা বেড়ে গেলেও, পুরো ইনিংসে একবারের জন্যও তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়নি উইলিয়ামসনকে।ওপরের সারির অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও ৪৪ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পাশাপাশি ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন কিউই অধিনায়ক। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় সাজঘরে এসেছিলেন তিনি। মাঠ ছেড়ে শেষ ওভারে, জয়ের মালা গলায় পরে।উইলিয়ামসনের এমন ব্যাটিংয়ের সুবাদেই শিরোপা জেতার আশা টিকে রয়েছে হায়দরাবাদের। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচটি জেতায় তারা এখন পেয়েছে কোয়ালিফায়ার-২ খেলার টিকিট। এ সাফল্যের অন্যতম কারিগর কেন উইলিয়ামসনকে ব্যাংকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে ওয়ার্নার বলেন, ‘কেন (উইলিয়ামসন) আমাদের ব্যাংকার। মাস্টারক্লাস খেলোয়াড় সে! সবসময় ম্যাচ শেষপর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার একটা পথ খুঁজে নেয়। যখনই আমরা বিপদে পড়ি, সে চাপের মুখে দারুণ ইনিংস খেলে আমাদের উদ্ধার করে নেয়। তার ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে বলার মতো যথেষ্ঠ শব্দ আমাদের জানা নেই।’অথচ বারবার টিম কম্বিনেশন বদলানোর গ্যাঁড়াকলে এবারের আসরে খুব বেশি সুযোগ পাননি উইলিয়ামসন। তবে স্বল্প সুযোগই বারবার কাজে লাগিয়েছেন তিনি, যার সবশেষ উদাহরণ ছিল ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটি। ওয়ার্নারের ভাষ্য, ‘ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। ব্যাঙ্গালুরুর মত দলের বিপক্ষে কাজটা কখনওই সহজ নয়। উইকেট বেশ ট্রিকি ছিল, যা চ্যালেঞ্জ বাড়িয়েছে।’ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে উইলিয়ামসন কথা বলেছেন নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে। ব্যাঙ্গালুরুর দুই লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও ইয়ুজভেন্দ্র চাহালের বিপক্ষে কোন সুযোগই নেননি তিনি। এ দুজনের ৮ ওভারে এসেছে মাত্র ৩৬ রান। তবু উইকেট না হারানোয় শেষপর্যন্ত ম্যাচ জেতানোর যথেষ্ঠ সুযোগ পেয়েছেন উইলিয়ামসন।কঠিন সময়ে ঠাণ্ডা মাথার ইনিংসটি সম্পর্কে তার ভাষ্য, ‘তাদেরকে অল্প রানে আটকে রাখা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা করতে পারায় আমাদের হাতে অনেক সময় ছিল (রান তাড়া করতে)। কিন্তু দুইজন বিশ্বমানের লেগস্পিনার থাকায় কাজটা সহজ ছিল না। তাদের বোলিং শুরু হতেই মূলত আমি উইকেটে যাই।