সকল রাজনৈকি দলের ৩৩% নারী অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে নাটোরে মাবন বন্ধন ও স্বারকলিপি কর্মসূচী পালন করেছে নারী উন্নয়ন ফোরাম। খাঁন ফাউন্ডেশনের অপরাজিতা প্রকল্পের সহযোতায় বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলা কার্য্যলয়ে সামনে ঘন্টা ব্যাপী মাবনবন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় নাটোর সদর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মোছাঃ লাইলী বেগমের সভাপত্বিতে এ মাবনবন্ধনে বক্তব্য দেন, ফোরামের সাধারন সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, প্রচার সম্পাদক আয়শা বেগম, নারী নেত্রী দেলোয়রা বেগম ও মুসলিমা খাতুন প্রমূখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অপরাজিতা প্রকল্পের নাটোর জেলা সমন্বয়কারী মজিবুর রহমান এবং সদর উপজেলা সমন্বয়কারী আলেয়া পারভীন। অপরদিকে কর্মসূচী পালন করা হয়, নাটোরের নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলাতেও। পরে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ এবং স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৮ দফাতে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। মাবনবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা উল্লেখ করেন, বতমার্নে আরপিও থেকে দল নিবন্ধনের অধ্যায় তুলে দিয়ে “রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ২০২০” নামে নতুন আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। ঐ খসড়া আইনে রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ের ৩৩% নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার কথা হলেও কবে নাগাদ তা করতে হবে, সে বিষয়টি তুলে দেওয়া হয়। এসময় তারা আরোও বলেন, বাংলাদেশে নারীরা যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নারীদের আবার পিছিয়ে দেওয়ার সামিল। জাতীয় সংসদে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী ছাড়াও ২০ জন নারী সরাসরি ভোটে এবার নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা দেখছি যেখানে নারীরা সরাসরি ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে, সেখানে নারীরা ভালো করেছেন। আরপিও’র বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হলে এই সব জায়গায় নারীদের অংশগ্রহণ আরো কমে যাবে। মনে রাখা দরকার, দেশে ৫১ শতাংশ ভোটার নারী। তাদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আমাদের দাবি রাজনৈতিক দলের মূল কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ (৩৩%) নারীকে সম্পৃক্ত করণের সময় সীমা বেঁধে দেওয়া এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের সকল কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ এবং অগ্রগতি কতটুকু হলো তা নির্বাচন কমিশন থেকে নিয়মতিভাবে পর্যবেক্ষণ করা।