এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) শুরু হয়েছে সোমবার।অভিযানের দ্বিতীয় দিনে) ১৩ হাজার ১৬২টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছ আভিযানিক দল। ৭ হাজার ৯৪০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ার পর কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২টি মামলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ডে (৫৪টি) একসঙ্গে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।উত্তরা এলাকায় (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১৮৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৭৩টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।মিরপুর-২ এলাকায় (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৬৬২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৮৭টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।মহাখালীতে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৭১০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৪২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ২৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।মিরপুর-১০ এলাকায় (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৮২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।কারওয়ান বাজারে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২৩৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।হরিরামপুর এলাকায় (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩১৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৯৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।দক্ষিণখানে (অঞ্চল-৭) মোট ৭২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৪৬৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।উত্তরখানে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৬৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৬১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৪০৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। প্রধান ভাণ্ডার বিক্রয় কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।সাতারকুল এলাকায় (অঞ্চল-১০) মোট ৭২৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৫৭০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।