বাজারে সিন্ডিকেট আছে স্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেট মোকাবেলায় ব্যর্থ নয়।
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেখানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে-বিদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যেকোনো গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে অপপ্রচারের শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেননি। কোনো আপস করা হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মানবিক কারণে জামিনে মুক্ত আছেন উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার। তারা আন্দোলন করতে জানে না।
বিএনপির নির্বাচন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানমসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।