খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার আমাদী ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট সংস্কারে নিজ ভাটার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেছে স্থানীয় আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির আলী। তদন্তে প্রমান পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করে মানসম্মত ইট, খোয়া ব্যবহারের নোটিশ দিয়েছেন। তবুও আমলে নিচ্ছে না, ওই ঠিকাদার চেয়ারম্যান আমির আলী। উপজেলার আমাদী ইউনিয়নবাসী অভিযোগ করেন, আমাদী ইউনিয়নের চন্ডিপুর বটতলা থেকে খিরল লঞ্চঘাট ১কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজে পুরোনো ও নিম্নমানের ইট, খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগে সত্যতা পেয়ে কয়রা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আজিজুর রহমান নিম্নমানের ইট, খোয়া ইত্যাদি মালামাল অপসারণের জন্য গত ২০ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর পৃথক পৃথক দুটি নোটিশ দেন। নোটিশের ১৯ তম দিন পার হলেও নিম্নমানের ইট, খোয়া অপসারণ করেননি ঠিকাদার চেয়ারম্যান আমির আলী। উন্নয়ন কাজের পাশে এখনো বিডব্লিউএম-এর কাজে নিম্ন মানের খোয়া স্তূপ রয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়রার আমাদীর ওই ১ কিলোমিটার সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। পূর্বে ইট নির্মিত সড়কটি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (কেএসপি-আরআইডিপি) পিচ ঢালাইয়ের কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। যার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৪ টাকা। রাস্তায় ব্যবহৃত পুরোনো ইটের মূল্য ধরা হয়েছে ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৪ টাকা। এদিকে কয়েক মাস আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে মেসার্স অগ্রণী কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমির আলী গাইন। ওয়াটার বাউন্ড ম্যাকডাম (ডব্লিউবিএম) বাংলাদেশ গ্রুপ ওই ১কিমি সড়কে ইটের খোয়া বিছানোর কাজ করছে। রাস্তায় নিম্নমানের ইট, খোয়া ব্যবহারের অভিযোগে উপজেলা এলজিইডি অফিস কাজ বন্ধ করে দেন। পরে ঠিকাদারকে ৩ দিনের ভিতর নিম্নমানের ইট, খোয়া অপসারণ করে ভালো ইট ব্যবহারের নোটিশও দেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার আমির আলী গাইন জানান, “ইটভাটা থেকে ভূলক্রমে এক গাড়ি খারাপ ইট দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে খারাপ খোয়া কিছুটা অপসারণ করা হয়েছে । সব অপসারনের পরে ভালো খোয়া দিয়ে কাজ করা হবে।” এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, “ইট খারাপ হওয়ায় নিম্ন মানের মালামাল অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তাটি যাতে ভালোভাবে নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে ঠিকাদারকে তাগিদও দেওয়া হয়েছে।”