মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ ব্রিজ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যথাযথ সংস্কারের অভাব ও বয়সের ভারে এ ব্রিজগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এ ব্রিজগুলো ব্যবহার করছেন। উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষ্যে আশির দশকে এ ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজ তৈরীতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে ব্রিজগুলোর এখন এমন নাজুক অবস্থা। বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল ব্রিজ এগুলোর মধ্যে অন্যতম। ব্রিজটির ভেঙ্গে গেছে রেলিং, ঢালাই উঠে বেরিয়েছে রড, পিলারের অবস্থাও নড়বড়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মত বড় কোন দুর্ঘটনা। ফজলুর রহমান নামে একজন বলেন, এলাকার মানুষের অতি প্রয়োজনীয় এ ব্রীজটি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। আজ পর্যন্ত এর দিকে কেউ নজর দেয়নি। ব্রিজটি মেরামত হলে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। এ ব্রিজটির কারণে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা সব সময় দুঃশ্চিন্তায় থাকে। রিক্সাচালক আকবর আলী বলেন, ব্রিজটি তুলনামূলক অনেক সরু হওয়ায় পথচারী অতিক্রম করে রিক্সা নিয়ে যাওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তারপর আবার রেলিং নেই। রিক্সা নিয়ে এ ব্রিজে উঠলেই মাথায় দুর্ঘটনার চিন্তা নাড়া দিয়ে উঠে। স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, হাটবাজারে কৃষি পণ্য আনা নেয়ার একমাত্র ভরসা বাইমাইল ব্রিজ। কিন্তু ব্রিজটির নাজুক অবস্থার কারণে আমরা অত্যন্ত অসুবিধায় আছি। ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী রুবাইয়াত জামান দৈনিক নবচেতনাকে জানান, গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও সহজতর করার লক্ষ্যে আশির দশকে ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। এ সকল ব্রীজের অধিকাংশই এখন জরাজীর্ণ। ইতোমধ্যেই কয়েকটি ব্রিজ মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ব্রিজ-কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি আরো জানান, তিনটি ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশির দশকে নির্মিত সবগুলো ব্রিজই পর্যায়ক্রমে পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের।