মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ৬ নং বয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান তুষার বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল জনগণের সেবা করবো। সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়াবো। সেই চিন্তা ধারা থেকেই ২০০২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স ২৫ বছর। তখন আমার ইউনিয়নবাসী যে আমাকে কতটা ভালোবাসে তার প্রমান আমি তখনই পেয়েছি এবং এখনো পাই। তখন থেকেই শুরু হলো আমার সবচেয়ে আপন মানুষ বয়রা ইউনিয়নের সাধারন জনগনের স্বপ্ন পূরণ করা। তাদের কিছু দিতে পেরেছি কিনা সেটা তারাই বলতে পারবে । তবে দিনরাত এক করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই দীর্ঘ সময় তাদের পাশে থেকেছি। আমি যতদিন বেঁচে আছি তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবেই থাকতে চাই। এই দীর্ঘ সময়ের উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মোট গ্রাম ছিল ১৮ টি যার মধ্যে শুধু বয়রা নামেই ছিল ১৫ টি গ্রাম ইতোমধ্যে ১২টি গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। আমার ইউনিয়নের জনগণের সম্মিলিত দাবির প্রেক্ষিতে সেই ভাঙন রোধের চেষ্টায় বর্তমান সরকার প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। আমার বয়রা ইউনিয়ন নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন এবং বন্যা কবলিত এলাকা সেই বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মোট চারটি আশ্রয়ন কেন্দ্র করেছি। ২৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তার কাজ শেষ করেছি। আমার ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারের আমলে এখন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট। এ বছরই কাজ শেষ হয়েছে ফায়ার স্টেশনের। একটি এতিমখানাও করা হয়েছে। অগণিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমি অংশীদার হয়েছি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন এর মাধ্যমে একটি ডাকবাংলো করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। আমি আশা রাখি আগামী নির্বাচনে যদি আমাকে এই ইউনিয়ন বাসী তাদের ভালোবাসা দিয়ে তাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দেয় তাহলে আমার প্রথম কাজ থাকবে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।