মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে যাত্রী বেশে অটো রিক্সায় উঠে আশরাফুল ইসলাম (৩০)কে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ে ঘটনায় ১২ ঘন্টার মধ্যে জড়িত মো. রুবেল (২৯), মো, আকরাম মোল্লা (২১), হাসান(২২), মো. রাজেন (২৪), আমির বেপারী (৪০), ইমরান তোফাজ্জল (৪০), সবুজ শেখ (৩০) ও কাজল শেখ (৩১)সহ ৮ জনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত অটো এবং হত্যা ব্যবহীত ধাড়ালো ছুড়ি উদ্ধার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ। সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এমন তথ্য। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে জেলার লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালী মান্দ্রা-হলদিয়া সড়কের কারপাশা গ্রামের, চাঁন খাঁর ব্রিজের সামনে ধারালো ছুরিকাঘাতে অটো চালক আশরাফুলের গলা কেটে গুরুতর জখম করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় ৮ ছিনতাই কারী। পরে ঘটনা স্থানেই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, গুরুতর আহত অবস্থায়, জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করে। পরে ঢাকা মিটফোর্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথেই তার মৃত্যু হয়। নিহত আশরাফুলের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে লৌহজং থানা পুলিশ। এসময় আটককৃত আসামীদের তথ্যমতে ছিনতাইকৃত অটো ও হত্যায় ব্যবহীত ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম আরো বলেন, নিহত অটো চালক আশরাফুল ঘটনাস্থলে আহত অবস্তায় মাটিতে খুনি রাজা ও হাসানের নাম লিখে যায়। এ ছাড়া মৃত্যুর আগে হাসপাতালে তার শশুরের নাম লিখে যান এর ফলে তার পরিচয় জানা যায় এবং খুনিদের ধরতে পুলিশের সুবিধা হয়েছে। গ্রেফতারকৃরা স্বীকার করেছে রুবেল ও আকরাম প্রথমে লৌহজং আসার জন্য অটোটি ভাড়া করে। পরে শ্রীনগরের বেজগাও এলাকায় এসে রাজন ওরফে রাজা এবং হাসান গাড়িতে ওঠেন। ঘটনাস্থলে গোয়ালিমান্দ্রা আসলে রুবেল ও আকরাম পিছন থেকে গামছা দিয়ে প্যাচ দেয়। এসময় ছুরি দিয়ে গলায় পোচ দেয় রাজন এতে আশরাফুলকে মারাত্মক আহত করে। মৃত ভেবে তাকে রাস্থায় ফেলে যায়। এরপর আহত অবস্থায় এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অটো ছিনতাই চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় একটি হত্যা ও ছিনতাই মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মোমেন পিপিএম এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরোউপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাফুজ আবজাল, ট্রাফিক এসপি মো. রায়হান, ডিবি ওসি মোজ্জামেল হক মামুন, ডিআই ২ শাফিকুল ইসলাম, লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন টেলিভিশন,পত্রিকা ও অনলাইন পোটার্লের গণমাধ্যম কর্মিবৃন্দ।