সরাইল উপজেলায় সদরে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। এই সরাইলে অনেক খাল রয়েছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খালের বেহাল দশা।কতিপয় দখল-দূষণে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে সেই ঐতিহ্যবাহী খাল।সরাইল উপজেলার উপর দিয়ে প্রবেশ মুখে বয়ে চলা খালগুলো অবৈধ দখল-দুষনে প্রায় অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা খালগুলোর মধ্যে উপজেলার গুরু বাজার থেকে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ নিজ সরাইল থেকে সরাইল-আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প খালের, বনীকপাড়া বড্ডা পাড়া তেরকান্দা ,বিকাল বাজারের পার্শ্ব দিয়ে সৈয়দ টুলা খাল।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু কারখানা মিষ্টির দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর তরল বিষাক্ত দূষিত বর্জ্য ফেলে দখল ও ভরাট এর কারণে খালগুলো পরিণত হয়েছে নালায়। বয়লার, শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্যরে দূর্গন্ধে খালপাড়ের মানুষগুলোর জীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। সরাইল বিশ্বরোড কুট্রাপাড়া সবুজ প্রকল্পের খাল সংস্কার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং দূষিত বর্জ্য ফেলা বন্ধের দাবী করেন উপজেলা বাসী।
সরাইল উপজেলা পরিবেশ অধিদফতর, প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা না থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।এ ছাড়া আরও কয়েকটি খাল রয়েছে যার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। এক সময় এসব খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। এখন একদিকে দখল আরেকদিকে দূষণ। এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান, বাড়িঘর।স্থানীয় সূত্র জানান,সরাইল গরুবাজার বড্ডা পাড়া, সরাইল বিকাল বাজার, রেশীবাড়ির পাশে, হাসপাতালের মোড়ে অন্নদার মোড়ে,মৌলি খাটা বাজারের কয়েকটা প্রভাবশালী ব্যবসায়ীমহলের কারনেই খালের এই মরণদশা। যেমন মিষ্টির দোকান, মুদি দোকান,ঔষধের দোকান,ফলের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর যাবতীয় বর্য এই খালে ফেলা হয়।তাই পরিবেশ দূষণ ও মানুষের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়েই চলছে।তবে তারা বলছেন আমরা আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা এ প্রতিনিধিকে বলেন, সারা দেশে সরকারি জাগা খাল বা নদী ভরাট করে দখল করেছে ঐ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আমি এসি ল্যান্ডকে বলেছি খাল সরিজমিনে দেখে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। সরকারের জায়গা কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। অতিদ্রুত এ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।