টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়া জেলার শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও আশাশুনি উপজেলার ২টি ইউনিয়ন সর্বত্র পানির নিচে। শ্যামনগর উপজেলা ও আশাশুনি এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। সর্বনাশা আম্ফান দুবেলা দুমুঠো পেটভরে খাওয়া মানুষগুলোর কোন দুশ্চিন্তা ছিল না। রোজগারের কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল না, কিন্তু বর্তমান সময়ে হাজার হাজার মানুষের প্রতি মুহুর্তের সঙ্গী খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত পানি আম্ফানের সর্বনাশা তান্ডব হতে জনপদগুলোতে সূর্যের আলোর উপস্থিতি দেখা মিলতে চাইছিল। কিন্তু বিধিবাম ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষরা আবারও ভাগ্যহীনতাকে আলিঙ্গন করলো বৃহস্পতিবার আকষ্মিকভাবেই খোলপেটুয়া নদীতে পানি স্বাভাবিকের অপেক্ষায় অন্তত তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় সংস্কার হওয়া গাবুরার লেবুবুনিয়া বাঁধ বির্ধ্বস্ত হয়। পানি হুহু করে প্রবেশ করে বিপন্ন, বিপর্যস্ত আর প্লাবিত করে গাবুরাকে একই দিনে কাশিমাড়ীর চিংড়ীখালী বাঁধ এক কিলোমিটার নিশ্চিহ্ন হলে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
মৎস্যঘের, ফসলি জমি, জনপদসহ স্থাপনা পানিতে তলিয়ে যায়। দিনব্যাপী প্রচেষ্টার পর বাঁধটি পুনঃনির্মান করা হয়েছিল কিন্তু গতকাল রবিবার সকালে আবারও তা ভেঙ্গে যায়। বাঁধ পুনঃনির্মান হলেও গাবুরার লেবুবুনিয়া বাধ অরক্ষিত, পানি ঢুকছে তো ঢুকছেই। শান্ত, নিরিবিলি গাবুরা শ্মশানে পরিণত হতে চলেছে। গতকাল দিনের অধিকাংশ সময় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গাবুরা রক্ষা বাঁধ সংস্কারের কাজ চলে এসএম জগলুল হায়দার এম,পি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ,ন,ম আবুজর গিফারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গাবুরার অবস্থা প্রতি মুহুর্তে ভয়াবহ হতে চরম ভয়াবহতার দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে অনবরত।