রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ধান খেতে ভুল কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় দেড় একর জমির ধান পুড়ে গেছে। শেষ হয়েছে কৃষকের সারা বছরের খাবার। ঘটনানাটি ঘটেছে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ গ্রামের কৃষক মৃত নছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশীদ ও মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আলম মিয়ার ধান খেতে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আব্দুর রশীদ তার মেয়ের জামাতা মারফৎ গঙ্গাচড়ার কোন এক দোকান থেকে কীটনাশক ক্রয় করে। জমিতে কীটনাশক ছিটানোর আগে সেগুলো গুলিয়ে নেয়। এসময় আব্দুর রশীদের স্ত্রী বাড়িতে অনেক আগের কেনা একটি ঘাস মারা অবশিষ্ট ঔষধের বোতল দেখিয়ে বলে, এই ঔষধ গুলো অনেক দিন থেকে বাড়িতে পড়ে আছে এগুলোও গুলিয়ে দাও। আব্দুর রশীদ কীটনাশক ওই ঔষধ গুলো কীটনাশকের সাথে মিশিয়ে দেয়। এরপর স্থানীয় দিন মজুর কিবরিয়াকে তার ১ একর ৩০ শতক জমিতে কীটনাশক গুলো ছিটাতে বলে। কিবরিয়া রশীদের জমিসহ পাশে থাকা আলমের ২০ শতক জমিতেও রশীদের জমি মনে করে একই কীটনাশক ছিটায়। পরে সময় যত যেতে থাকে ধান খেতও পুড়তে থাকে। এরপর ধান খেত পুড়তে দেখে লোকজন গিয়ে রশীদকে খবর দেয় এবং বলে যে কি ঔষধ দিয়েছে যে ধান খেত পুড়ে যাচ্ছে। তখন রশীদ ঔষধের বোতল সবাইকে দেখায়। এসময় দেখা যায় পুরাতন যে বোতলটি ছিল, সেটা ছিল মিমপেক্স কোম্পানির একটি এরোক্সন এর (ঘাস মারা) ঔষধ । বিষয়টি স্বীকার করে আব্দুর রশীদের বড় ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার বাবা বুঝতে পারেননি যে ওটা ঘাস মারা ঔষধ ছিল। তিনি আরও বলেন আমাদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেল। ওই জমিটুকু আমাদের ধান চাষাবাদের শেষ সম্বল যা দিয়ে সারা বছর ভাত খাই। কৃষক আলম বলেন, আমি কয়েক বছর হলো রশীদ চাচার কাছ থেকে জমিটুকু কিনে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু ঔষধ ছিটানো মজুর কিবরিয়া হয়তোবা সেটা জানতো না, রশীদ চাচার উচিৎ ছিল সেটা কিবরিযাকে বলা। এখন আমার যে ক্ষতি হলো এটা কে পুরন করে দিবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন বিষয়টি শুনেছি, ঘটনানাটি দুঃখ জনক। করার কিছুই নেই, তবে ধান গাছের পাতায় বেশি বেশি করে পানি ছিটাতে হবে যাতে বিষক্রিয়াটা নষ্ট হযে যায, তাহলে কিছুটা রক্ষা হতে পারে।