পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনের কারণে টেকসই হচ্ছে না নদী ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া সরকারি প্রকল্প। ফলে নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা না গেলে পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসেওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বড় শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। এসময় তিনি আরও বলেন, রাতের অন্ধকারে পদ্মার তীরে অবৈধভাবে বালু কেটে নেয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকা। এছাড়া স্থানীয়দের যোগসাজশে চলা এমন নৈরাজ্যের কারণে ধসে গেছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ। এতে কয়েক দফা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে প্রকল্পের কাজ। এসময় স্থানীয়দের জনসমর্থন নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ দুই আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমেলি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান বি এম শোয়েব সিআইপি, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুর রশিদ শিকদার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বেপারী, তোফাজ্জল হোসেন তপনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।