নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাস থেকে নামিয়ে তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার নামে অটোরিকশায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালক খাইরুল ইসলামকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। তবে অটোরিকশা এবং অটোরিশার চালককে খুঁজে পায়নি। আটক বাস চালক ঢাকা-দুর্গাপুর-লেঙ্গুরা সড়কের মামনি পরিবহন নামের ৭ নং গাড়ির চালক।

তিনি দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর স্বামী না থাকায় সন্তানকে বাবার বাড়ি রেখে ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করেন।

ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে নিজ বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুরে আসার উদ্দেশ্যে মামনি পরিবহনের ৭ নম্বর বাসে উঠেন তিনি। পরে রাত ৩ টার দিকে ওই বাস দুর্গাপুর পৌর শহরের নাজিরপুর মোড় প্রেসক্লাবের সামনে ওই তরুণীকে নামিয়ে দেয় বাসের হেল্পার। সেখান থেকে অটো রিকশায় বাড়ি যাওয়ার কথা। এদিকে বাস থেকে চালক খাইরুলও নেমে যান। সেখান থেকে নাজিরপুরে যাওয়ার জন্য ওই নারী অটোরিকশা ভাড়া করতে গেলে সেটিতে বাস চালক ওঠে বসে। ওই নারীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও অন্য কোন উপায় না পেয়ে বাস চালকের সাথেই অটোরিকশায় ওঠে পড়েন ওই তরুণী।
পরে রিকশাটি পৌর শহর ছেড়ে চন্ডিগড়ের দিকে যেতেই বাস চালকের চেহারা বদলে যায়। অটোর মধ্যেই ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চন্ডিগড় ইউনিয়নের মধুয়কোণা এলাকায় সড়কের পাশে পুকুরের ধারেই অটোরিকশা থামিয়ে চালকের সহায়তায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাস চালক। পরে ওই তরুণীকে নাজিরপুর নিয়ে যাওয়ার মাঝেপথে কৌশলে আত্মীয়র বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। সেইসাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ব্যাগ নিয়ে যায় ধর্ষক ও অটোচালক।
পরদিন শুক্রবার স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগী দুর্গাপুর থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ জানালে পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় বাসচালক খাইরুল ইসলামকে আটক করলেও অটোরিকশা চালককে পায়নি।

সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত বাস চালককে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। মামলার প্রস্তুতি চলছে।