দুটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয় ‘মামা-ভাগ্নে’। মামার আছে নবাবী চালচলন। তীব্র গরমে তাকে শান্ত রাখতে দিনে তিনবার ও রাত ১০টার পর একবার গোসল করাতে হয়। মামা যেখানে আছে ভাগ্নের দেখাও মেলে সেখানে। মামাকে টক্কর দেওয়া ভাগ্নের ওজনও কিন্তু কম নয়। ভাগ্নের ওজনও ৭০০ কেজি। তবে মামা ভাগ্নে নাম দেওয়া শুরুটা নিজ মুখে বলেন বাড়ির মালিক। প্রথমে বাড়িতে তারা একটি গাভি গরু লালন পালন করতে থাকেন। সন্তানের মতো ভালোবাসা দিয়ে এই ষাঁট দুটিকে লালন পালন করেছেন দুধসর ইউনিয়নের সাতবিলা কুলচারা গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম। আসন্ন কুরবানীর বাজারে বিক্রির জন্য হাজার কেজি ওজনের এই ষাঁড়ের পিছনে খরচও করেছেন কয়েক লাখ টাকা। গাভি থেকে একটা বকনা বাছুর হয় সেটাও তারা লালন পালন করতে থাকেন। এরপর তাদের গোয়ালে যুক্ত হয় গাভি। এই দুটা গাভি থেকে পরপর দুটা এড়ে বাছুর হয়। তখন এক হাজার কেজি ওজনের ষাঁড়ের নাম রাখা হয় মামা ও সাতশত কেজি ওজনের ষাঁড়ের নাম দেওয়া হয় ভাগ্নে। এবারের কুরবানীর ঈদের হাটে মামার দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ ও ভাগ্নের দাম ১০ লাখ টাকা। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলায় দেখা মেলা মামার বয়স ৪ বছর ও ভাগ্নের সাড়ে তিন বছর। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে মামা-ভাগ্নেকে। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকে শুকনা খড়ের সাথে মেশানো গম, খেসারি, ছোলা, ভুট্রা। গরুটি দেখতে সুন্দর হওয়ায় প্রতিদিন পাড়া প্রতিবেশীরা দেখতে আসছে ও তাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন গরু পালনের জন্য। এদিকে ষাঁড় দুটির মালিক আতিয়ার রহমানের অভিযোগ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কোনদিন আমার বাড়িতে আসেনি এবং কোন খোঁজ-খবরও রাখেন না। তারা পরামর্শ দিলে মামার ওজন ১২০০ কেজি ও ভাগ্নের ওজন ৯০০ শত কেজি হতো। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সুব্রত কুমার ব্যানার্জী জানান, আমরা সকল গরু পালনকারীকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া সম্ভব না।