চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে জেলার সদর হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর।দুপুর আড়াইটার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টার দিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কে আকন্দবাড়িয়া আবাসন এলাকায় উথলী ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি জখম হন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে ফুসফুসে ক্ষত হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এদিকে খবর পেয়ে আব্দুল হান্নানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপি এম-সেবা), দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে আব্দুল হান্নানকে দেখতে যান। উথলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনি বলেন। আব্দুল হান্নান চাচা ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে উথলী ইউনিয়ন পরিষদে আসছিলেন। তিনি আকন্দবাড়িয়া আবাসন পার হলে মোটরসাইকেলে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চাচাকে দুজন পেছন থেকে তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। তিনি ওই অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। পরে তাঁকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল গেছে বলে জানান জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন। তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছি। এখন পযর্ন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।