ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের উত্তর মালা গ্রামে বসতি এলাকায় মুরগীর খামার করে পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী আনিচুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকার একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫৮ জনের স্বাক্ষরিত একটি কাগজে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, উত্তর মালা গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী আনিচুর রহমান ওই গ্রামে বসত বাড়ির পাশে মুরগী খামার করে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। খামার চারপাশে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ একাধিক বসতঘর রয়েছে। মুরগীর বিষ্টা ও বর্জ্যর দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী। আনিচুর রহমানকে মৌখিক ভাবে একাধিকবার নিষেধ করার পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা করেনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমাদের বসত বাড়ির পাশে আনিচুর রহমান মুরগীর খামারটি স্থাপন করেছে। আমাদের বাড়িতে বৃদ্ধ ও শিশু বাচ্চা রয়েছে। বাতাসে ভেসে আসা দুর্গন্ধ আমারা কোনো ভাবে নিতে পারছি না। আমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করবো খামারটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.জাহাঙ্গীর আলম মিয়া বলেন, মুরগীর খামারের বর্জ্যর দুর্গন্ধে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এখানে প্রচুর মাছির উপদ্রপ হয়েছে। বাতাস হলে ঘরে টিকে থাকা কষ্ট হয়ে পড়ে। জীবন-যাত্রার মান হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকার আমির সোয়েব মিয়া বলেন, মুরগীর খামারের ব্যবহৃত ভ্যান, নছিমন ও পিকআপ নেওয়ার কারণে এলাকার কবরস্থানের কাঁচা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। মৃত্যু ব্যক্তির দাফন করার সময় খামারের দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে মানুষের দাফন করতে কষ্ট হয়। তাছাড়াও আমাদের এলাকায় একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ‘বেলা-অবেলা’ নামে একটিশিশু পার্ক আছে। পার্কটি পাশে মুরগীর খামার থাকার কারণে এলাকার শিশুরা পার্কে গিয়ে ঘোরাফেরা করাতে পারছে না। বাচ্চারা বিনোদন থেকে দুরে স্বরে যাচ্ছে। এ নিয়ে আনিচুর রহমানের সাথে কথা হলে বলেন, আমি সরকারি নিয়ম মেনে খামার করেছি। খামার থেকে বসত বাড়ির দূরুত্ব অনেক। তাই কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াসমীন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মুরগীর খামারের যদি পরিবেশের ক্ষতি ও আশপাশের বসবাসের জনগণের জন্য ক্ষতিকারক হলে খামারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।