ঝিনাইদহের মহেশপুরের সড়াতলা এলাকায় ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা শাহ আলম (৩৭) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফতেপুর ইউনিয়নের বেড়েরমাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ আলম মৃত আব্দুল বারী ছেলে। এ ঘটনায় ভাতিজা রাজু আহম্মেদকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে সড়াতলা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন আসেন শাহ আলম। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে ভাতিজা রাজুর সাথে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে গরুর ঘাস কাটা বটনে চাচা শাহ আলমের শরীরের নানা জায়গায় আঘাতসহ মাথায় সাজোরে আঘাত করে। ওই সময় চাচা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সেসময় পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারজানা নাজনীন জানান, হাসপাতালে আসার আগেই শাহ আলমের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাথার আঘাত থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিকটতম ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, শাহ আলম শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল এবং ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার ভাতিজা রাজুও মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি জানান, তারা দু’জনে মাঝে মাঝে বাকবিতন্ডা করতো। কিন্তু রাজু যে আজ তার চাচাকে এ ভাবে আক্রমণ করবে সেটা আমি ভাবতে পারছি না। মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন জানান, এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাতিজা রাজুকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।