নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধানক্ষেতে ইদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ইরি বোরো ধান রোপনের পর যখন পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক, ঠিক তখনি ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ইদুরের উপদ্রব। ইদুর ধান ক্ষেতে প্রবেশ করে ধানগাছ কাটতে শুরু করেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এমন চিত্র নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে। এখানকার অধিকাংশ কৃষক এখন ইদুর আতঙ্কে রয়েছে। অনেকটা অরক্ষিত ধানক্ষেতে ইদুর এখন কৃষকের গলার কাটা। এভাবে চলতে থাকলে এবার ইরি বোরো ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। তবে ইদুর নিধনে উপজেলা কৃষি বিভাগ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বা কোন সহযোগীতা করছে না অভিযোগ করেছে কৃষকরা। স্থানীয় ধান চাষি কৃষক আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, আমরা কৃষকেরা সুদ মুনাফা বা ধার ও ঋণের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ, হালচাষ ও কৃষি সরঞ্জামাদীর যোগান করে ধান উৎপাদন করে থাকি। কিন্তু চলতি মৌসুমে ইঁদুরের উপদ্রবে ধান চাষের ফলনের ব্যাঘাত ঘটছে। এতে কৃষক ঋণের বোঝা ও ধান চাষের এমন অসফলতায় কৃষক মাঠেই মারা যাবে। তাই কৃষি অফিসের কাছে আমার দাবী সরকার ইঁদুর নিধনে আমাদের সহায়তা করলে আমরা ইরি এবং বোরো ধান চাষে সফল হতে পারব। আরেক কৃষক নুর নবী বলেন, ১২০ শতাংশ জায়গা ঋণ করে ইরি ধানের চাষ করছি, কিন্তু ইঁদুরের আক্রমনে এখন বেহাল দশা। কৃষি অফিস থেকেও কোন প্রকার সহযোগীতা পাচ্ছিনা। বিগত দশ পনের দিন আগেও তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানায়, ইঁদুর নিধনে নাকি কোন ব্যবস্থা বের হয়নি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা কৃষকেরা নিঃস হয়ে যাবো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফেজ জাফর উল্যাহ স্বপন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাড়াতে সরকারের প্রতি দাবী জানান। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আশিক জামিল মাহমুদ কৃষকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইদুর নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ও মাঠ পর্যায়ে কেউ অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অসহায় কৃষকদের দিকে তাকিয়ে ইঁদুর নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ, এমনটাই দাবী কৃষকদের।