উত্তরের জনপদে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। কয়েক দিনে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে অভিভাবকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আর চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। ঠাণ্ডাজনিত কারণে গত কয়েক দিনেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ছয় শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া (প্রদাহ), সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছে অভিভাবকরা। এদিকে শিশুদের পাশাপাশি নানা বয়সী নারী-পুরুষরাও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত রোগীর চাপ। হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুর বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘হঠাৎ করে ঠাণ্ডা বেশি পড়ায় আমার সন্তানের ডায়রিয়া শুরু হয়। পরে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। এখন সুস্থ মনে হচ্ছে।’ রায়গঞ্জ উপজেলা থেকে আসা আরেক শিশুর অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘অতিরিক্ত শীতের কারণে আমার সন্তানের নিউমোনিয়া হয়েছে। সেজন্য সদর হাসপাতালে ছুটে আসি। এখানে ঠাণ্ডাজনিত কারণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অনেক।’ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু সাঈদ সরকার বলেন, ‘শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সরবরাহ আছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছি। আর চিকিৎসার পাশাপাশি শিশুদের অভিভাবকসহ সবাইকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে আগের তুলনায় হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে। রোগীর সেবায় ডাক্তার ও নার্স সার্বক্ষণিক ভাবে সেবা দিয়ে চলেছে।’ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, গত ১ সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ঠাণ্ডা রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।’