মজুরি বোর্ডের ৭ম সভার পূর্বে আজ ২৫ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনসমূহের মোর্চা ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’-এর সমাবেশ থেকে ঘোষিত খসড়া মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। সমাবেশ থেকে শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ কারাবন্দি শ্রমিকদের মুক্তি ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। রবিবার, বেলা ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন-এর সমন্বয়ক তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাদেকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক প্রমুখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত খসড়া মজুরি কাঠামো গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মালিকপক্ষের অনুকূলে নামমাত্র মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এলে অন্তত ৪ জন শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে রাসেল, আঞ্জুয়ারা ও জালালউদ্দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গাজীপুরের শ্রমিক ইমরান কারখানার ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মজুরি বোর্ড ঘোষিত মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করবে এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, খসড়া মজুরি প্রস্তাব চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মজুরি বোর্ডের ৭ম সভা চলছে। মজুরি বৃদ্ধির নামে আবারো কোনো প্রহসনের ঘোষণা এলে শ্রমিকরা তা মানবে না। নেতৃবৃন্দ আজকের সভা থেকে ঘোষিত মজুরি সকল অসঙ্গতি সংশোধন ও গার্মেন্ট শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানান।