নতুন আয়কর আইনে গণকর্মচারীদের আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সকল পর্যায়ের গণকর্মচারীকে রিটার্ন দাখিল করতে হচ্ছে। গণকর্মচারীদের রিটার্ন দাখিলের সুবিধার জন্য আয়কর বিভাগের বিভিন্ন কর অফিস বেশ কিছু বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন রিটার্ন দাখিল সম্পর্কিত বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া, করাঞ্চলে তাদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু এবং রিটার্ন দাখিল করার বিষয়ে সচেতন করা।
আইন অনুযায়ী,আগামী ৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। তাই করদাতাদের সুবিধার্থে পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে দেশের সকল করাঞ্চলে করমেলার আদলে যাবতীয় করসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কোন কোন করাঞ্চল গণকর্মচারীদের জন্য বাড়তি কিছু সেবা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল কর কার্যালয়ের কমিশনার মো. সারোয়ার হোসেন চৌধুরী বাসসকে বলেন, নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী গণকর্মচারী অর্থ্যাৎ সরকারি অফিসের পিয়ন থেকে সচিব পর্যন্ত সব পর্যায়ের কর্মচারীকে রিটার্ন জমা দিতে হবে। এদের মধ্যে অনেকেই যেহেতু এবার প্রথমবারের মত রিটার্ন দাখিল করছে, তাই তাদের সুবিধার জন্য বাড়তি কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন কর্মচারীদের রিটার্ন দাখিল সম্পর্কিত বিষয় উল্লেখ করে সরকারি অফিসগুলোতে চিঠি দেওয়া, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং করাঞ্চলে হেল্প ডেস্ক চালু রাখা।
তিনি জানান, বরিশাল কর অফিস থেকে ১৮০০ পুলিশ সদস্যকে রিটার্ন দাখিল সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারোয়ার হোসেন বলেন, নতুন আইনে গণকর্মচারীদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ৪৩ ধরনের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল প্রাপ্তি স্বীকার (পিএসআর) জমাদান আবশ্যকীয় করায় এবার রিটার্ন দাখিল বেশি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ীী গণকর্মচারী বলতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োাজিত অথবা যেকোনো বিধিবদ্ধ সংস্থায় চাকরিরত ব্যক্তিকে বোঝায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, গণকর্মচারী বলতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বোঝানো হয়েছে।
পুরো নভেম্বর মাসজুড়ে দেশের ৩১টি করাঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেল কার্যালয়ে করসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা করা হচ্ছে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে পাবেন রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ।এ ছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে।