নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ ধরায় বিভিন্ন স্থানে ১৬০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের খবর:

চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা-ইলিশ সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা মানছে না জেলেরা। আইন অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরায় টাস্কফোর্স ও নৌ-পুলিশের পৃথক অভিযানে আটক হয়েছে ১৩০ জেলে। এর মধ্যে ৯০ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ এবং ৪০ জেলে আটক হয় চাঁদপুর সদর টাস্কফোর্সের অভিযানে। রবিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে ৪০ জেলেকে আটক করে। এর মধ্যে ৩১ জেলেকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক। একই সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৯ জেলেকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সবগুলো ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে ৯০ জেলেকে আটক করে। এর মধ্যে ৩২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ছয় জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ১২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪০ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৩টি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় তিনটি। অভিযানের সময় জব্দকৃত ৯ লাখ মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং ৯৫৯ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়া জব্দকৃত ৩৭টি নৌকা থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।

শরীয়তপুর: মা-ইলিশ রক্ষা অভিযানের ১৯তম দিনে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ভেদরগঞ্জের উত্তর তারাবুনিয়া, কাঁচিকাটাসংলগ্ন পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় প্রশাসন। এ সময় ৯০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, তিনটি ট্রলার, ১০ কেজি মা-ইলিশসহ ২৪ জেলেকে আটক করা হয়। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মা-ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও পাঁচ জনকে ৫ হাজার করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম): নাগেশ্বরীর দুধকুমার নদে অভিযান চালিয়ে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকার ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ছয় জেলেকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ। জানা যায়, রাতে দুধকুমারে ব্যাটারি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করায় তিন জনের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একই নদীতে জাল ফেলে ইলিশ মাছ শিকারের অপরাধে পর তিন জনকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।