২৮ অক্টোবর ঢাকাতে বিএনপি ও জামাতের পৃথক পৃথক সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহ কালে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সর্বমোট ২৭জন সাংবাদিক আহত এবং ১জন সিনিয়র সাংবাদিক নিহত হন, এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলাতে আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার শেখ হাসান বেলাল সন্ত্রাসী হামলায় মাথা ফেটে নির্মমভাবে আহত হন,এর কিছুদিন পরে কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলনের ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে নিউজ টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুজ্জামান,চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস,বাংলাভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার হাসান আলী,এনটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলি হামলার শিকার হন।এরপরও খ্যান্ত হয়নি সন্ত্রাসী বাহিনী।আসামী গ্রেফতার ও বিচার না হওয়াতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিন দিন আরো হিংস্র হয়ে উঠছে, এসকল হামলার রেশ না কাটতেই গতকাল রবিবার দুপুর ৩টায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মিলন উল্লাহ কে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি প্রদান করেন ২২মামলার আসামী মামুন ওরফে টাইগার মামুন।এভাবেই দিনেরপরদিন নির্যাতিত ও নিপিড়নের শিকার হচ্ছেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মী সাংবাদিকদবৃন্দ।এদিকে একটি বছর পার হয়ে গেলেও হাসিবুর রহমান রিজু হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি কুষ্টিয়ার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। নিরাপত্তাহীনতার ঘানি মাথায় নিয়ে এবার কঠোর অবস্থানে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া। সোমবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এসময় বক্তব্য প্রদান করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজ্বী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা,সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন উল্লাহ,সহ-সভাপতি শেখ হাসান বেলাল।কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুজ্জামান,সাধারণ সম্পাদক শরিফ বিশ্বাস,সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান,সত্য খবর সম্পাদক হাসিবুর রহমান রিজু সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।