
১৬তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ হিসেবে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জেরিন জেনি। এর আগে গত ১৩তম বিজেএস পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেন রাবির আইন বিভাগের শিউলী নাহার, ১৪তম পরীক্ষায় প্রথম হয় সুমাইয়া নাসরিন শামা এবং ১৫তম পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন আশিক উজ জামান। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের থেকে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার রেকর্ড হলো। গত রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত ১০৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ. এম. রেজা জাকের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফলে এ তথ্য জানা। প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, মেধা তালিকায় থাকা ৯৯তম, ১০০তম, ১০১তম, ১০২তম ও ১০৩তম ও ১০৪তম পরীক্ষার্থীরা একই নম্বর পাওয়ায় ১০০ জন চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৪ জন মিলিয়ে মোট ১০৪ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা নুসরাত জেরিন জেনি বর্তমানে রাজশাহী জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুরে। জেনি’র পিতা এ কে এম আব্দুর নুর বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাবেক উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসাবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। জেনি’র মাতার নাম মোছাঃ শিনতাজ বেগম ডলি। তিনি হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য সাদিকুল ইসলাম সাগর বলেন, এ নিয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। এবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত জেরিন জেনি। তাকে নিয়ে আমাদের এমনিই প্রত্যাশা ছিল, ভালো কিছু করবে। সে বিভাগের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত মেধাতালিকায় ১৫ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা আমাদের গর্ব। তাদের এ অর্জনে আইন বিভাগ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। তাদের হাতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে।