পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় পরিচালিত কোস্ট ফাউন্ডেশন এর সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) নিরাপদ শুঁটকি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে (বুধবার) জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় কনফারেন্স রুমে “প্রোডাক্ট সার্টিফিকেশন” বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। উক্ত কর্মশালায় শুঁটকির নমুনা ল্যাব থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২০জন উদ্যোক্তাকে বিষমুক্ত ও নিরাপদ শুঁটকির সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। “উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসার” উপ-প্রকল্পের অধীনে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ২০২১ সাল থেকে কাজ করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন। প্রকল্প কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারী-মার্চ ২০২৩ সালে নাজিরারটেক ও চৌফলদন্ডীর ২০জন উদ্যোক্তা থেকে শুঁটকির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। উক্ত নমুনা শুঁটকিগুলোর পেস্টিসাইড টেস্ট, স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ও ভারী ধাতু (আর্সেনিক, লেড, ক্রোমিয়াম ও কেডমিয়াম) লেভেল যাচাই পরীক্ষা শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে টেস্ট করা হয়। উক্ত কর্মশালায় কোস্ট ফাউন্ডেশন এর এসইপি প্রজেক্ট ম্যানেজার তানজিরা খাতুন এর সঞ্চালনায় জাহাঙ্গীর আলম-সহকারী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন ও সদস্য সচিব-কক্সবাজার এনজিওফোরাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শফিকুর রহমান- মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিএফআরআই) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস.আই.এম. আকতার কামাল আজাদ-কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ড, জাহানারা ইসলাম-নারী উদ্যোক্তা, সারওয়ার আজম মানিক-স্টাফ রিপোর্টার-চ্যানেল আই ও জাহাঙ্গীর আলম-উপজেলা মৎস্য অফিস। কর্মশালায় প্রকল্প কার্যক্রম ও প্রোডাক্ট সার্টিফিকেশন বিষয়ে প্রেজেন্টেশন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে অতিথিবৃন্দ শুঁটকির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণে বাধা ও করণীয় বিষয়ে উদ্যোক্তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান অতিথি ড. শফিকুর রহমান বলেন- শুঁটকি সেক্টরে বিএফআরআই যেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে কোস্ট ফাউন্ডেশন সেসব প্রযুক্তি নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে ব্যবহার করছে। তাছাড়াও, ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত শুঁটকির সার্টিফিকেট থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে আরো বেশি আস্থার জায়গা তৈরী হবে এবং নিরাপদ শুঁটকির চাহিদাপূরণে সক্ষম হবে। সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন- নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন ও এর পরিবেশ উন্নয়নে কোস্ট ফাউন্ডেশন ২০০২ সাল থেকে কাজ করে আসছে। তিনি বক্তব্যে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট(এসইপি) বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি পল্লী নাজিরারটেকে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার, মহিলা শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র এবং নিরাপদ শুঁটকির বাজারজাতকরণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। কোস্ট ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও শুঁটকি/মৎস্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়নকর্মে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই কর্মশালায় নাজিরারটেক, খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডী এলাকার ৩০ জন শুঁটকি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিষমুক্ত, স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী সহনীয় মাত্রায় ভারী ধাতু রয়েছে এমন ২০টি নমুনার ২০জন উদ্যোক্তাকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।