নরসিংদীর হাজিপুরে পাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে ভোগান্তীর চরমে পৌছেছে হাজিপুর ইউনিয়নের প্রায় আট হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটিতে অসংখ্য খানা- খন্দে পানি জমে মূল রাস্তার মাঝেই তৈরি হয়েছে গোটা দশেক পুকুর। বছরের বেশিরভাগ সময় পানি জমে থাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। এর থেকে দ্রুত মুক্তির দাবি ভোক্তভোগীদের।নরসিংদী সদরের গাঁ ঘেঁষেই হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মূল সড়কটি (৬০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোড় থেকে আনসার ক্যাম্প হয়ে একার ঘাট পর্যন্ত) সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ তিন বছর ধরে পরে আছে বেহাল অবস্থায়। প্রায় ২৪ ঘন্টা ছোট বড় যানবাহন চলাচলে ব্যস্ত সড়কের জরাজীর্ন এই অবস্থা, যেনো দেখার কেউ নেই। পাকা রাস্তটির পিচের আস্তরন উঠে বেড়িয়ে এসেছে কঙ্কাল। তৈরি হয়েছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি খানা-খন্দ। এক পশলা বৃষ্টিতেই হাটু পরিমান পানি জমে রূপ নেয় ছোট ছোট পুকুরে। যা বছরের অধিকাংশ সময়ই স্থায়ী হয়, ঘটে দুর্ঘটনা। স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রী, ১০ টিরও অধিক পাওয়ার লোমের মালামালসহ জেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীপুর কাঠ বাজারে চলাচলের এক মাত্র রাস্তা এটি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার জানানো হলেও মিলেনি সঠিক কোন সুরাহা অভিযোগ ইউপিচেয়ারম্যানের। ফলে নিত্যদিনের চলাচলে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে এই এলাকার প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা।এ বিষয়ে স্থানীয় হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু জানান, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকার কারনে পানি জমে থাকে এই রাস্তাটিতে। ৩/৪ বছর যাবৎ রাস্তাটির বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে জনসাধারনের চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পরছে। রাস্তাটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার বলেও ব্যথ্য হন তিনি।একক সময় একক কথাবলছে প্রকৌশলী আর মেনটেনেন্স খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারন দেখিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ একটু দেরি হচ্ছে বলে কাল খেপন করছে তিনি। তবে খুব দ্রুত রাস্তা মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হবে জানান তিনি।নরসিংদী সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত করা হয়নি তবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ১৩শত ৬০ মিটার রাস্তাটির মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে বলে যানান উপজেলা প্রকৌশলী।দ্রুত রাস্তাটির মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনদূর্ভোগ লাঘবের দাবী এলাকাবাসীর।