মশা নিধন করলেই ডেঙ্গু রোগী কমবে এবং মৃত্যু কমবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। কারণ মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগী হয়। কাজেই মশা নিধন করতে হবে। মশা নিধন করলেই রোগী কমবে এবং মৃত্যুও কমবে। আমাদের যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তার বাইরেও সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশন ও পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দিচ্ছি, মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেটিও আমরা করছি। জাহিদ মালেক স্বপন আরও বলেন, রোগীরা যাতে হাসপাতালে বেড, ওষুধ ও স্যালাইন পায় সেই কাজ সফলতার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসছে। বাইরে স্যালাইনের অভাব দেখা দিলেও আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই। তারপরেও আমরা সরকারি ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেন ৭ লাখ স্যালাইন দ্রুত বাজারে ইমপোর্ট করে আনা হয়। সেটার কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে স্যালাইন চলে এসেছে। আর লোকাল স্যালাইনতো তৈরিই হচ্ছে। এর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রী বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে আই কেয়ার ইউনিট ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা’র উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত এইচ. ই পার্ক ইয়ং সিক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের বাস্তবায়ন সংস্থা কেওইসি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউন-ইয়ং, স্বাস্থ্য সেবা খাতের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা খানম, কেওইসিএ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তেয়ং কিম এবং স্বাস্থ্য বিভাহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা প্রমুখ।