পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি বেতন দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এটা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ১০ শতাংশ করলে ভালো হতো। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে নির্বাচিতদের হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহম্মদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী, একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ মান্নান আরও বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশন জনগণের কাছে তেমন পরিচিত ছিল না। তবে এখন মানুষ পরিকল্পনা কমিশন সম্পর্কে জানে। আগে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ছিল আধ্যাতিক। এখন মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে শিখছে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। এটা ভালো দিক। দেশের উন্নয়নে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ যেন বাঙালির হাতে থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেনসহ তিনজনকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন-শিল্প শক্তি বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর ফারজানা ববি ও ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক মালা খাতুন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের দায়িত্বের পরিধি বেড়ে গেল। এটা প্রমাণ করতে হবে আমরা যে তাদের নির্বাচন করেছি সেটি সঠিক নির্বাচন ছিল। তাদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন।