সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) বিকাল ৪ টায় এই দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সিলেট সিটির ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯০টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ৫৪৬১০ ভোট। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ২০৫৮৮ ভোট।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নৌকার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: ইত্তেফাক
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৫৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬ কেন্দ্রে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি পেয়েছেন ৫৩,৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মুরশিদ আলম (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪,২৩৬ ভোট।

এবার পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: ইত্তেফাক
মেয়র পদে অন্য প্রার্থী হলেন–ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা); জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া); মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট); মো. শাহজাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তাদের মধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। নির্বাচন বর্জন করলেও ইভিএমে তার প্রতীক ও নাম রয়েছে।

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে রয়েছেন চারজন প্রার্থী। যদিও গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন। অপর তিন মেয়র পদপ্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার।

নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১২ জন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে এই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। অপর ২৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১১ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন সুলতানা আহমেদ সাগরিকা নামে একজন তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন মাত্র ছয়জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৫৩টি।