পানিতে ডুবে মারা গেছে ছোট ভাই। ভাইয়ের মৃত্যুশোক সইতে না পেরে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বড় বোন। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার চণ্ডিবের এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্ডিবের মোল্লা বাড়ির বাছির মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিরব মোল্লা (১২) সোমবার বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার সময় ফুটবলটি পাশের জলাশয়ে পড়ে যায়। নিরব মোল্লা জলাশয় থেকে ফুটবল আনতে গেলে জলাশয়ের পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ভাইয়ের মৃত্যুর কথা শুনে বড়বোন ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাজা বেগম (১৮) বাড়ির ছাদে গিয়ে লাফ দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে নাজা বেগমের মৃত্যু হয়।
নাজা বেগমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চণ্ডিবের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ। নিরবের চাচা মো. নাছির মোল্লা বলেন, আমার ভাতিজা পানিতে ডুবে মারা যায়। এ খবর পেয়ে ভাতিজি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদ বলেন, ‘পানিতে পড়া শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।’ ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নীরব মোল্লার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নাজার মৃত্যুর তথ্য জানা নেই বলে জানান।