চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা নিহতের শ্বশুরবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গ রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূ রোশনি আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ননদ ও শ্বশুর-শাশুড়ি চিৎকার করতে থাকে।এ সময় আশপাশের লোকজন এসে ঘর থেকে প্রায় দুইশ গজ দূরে খড়ের গাদার পাশে গৃহবধূ রোশনি আক্তারের লাশ দেখতে পায়।তখন স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জানা যায়,নিহত রোশনি আক্তার সায়মা(২১) একই এলাকার দেলোয়ার আলমের স্ত্রী।তবে যৌতুকের জন্য শ্বশুর শাশুড়ি ও স্বামী এবং ননদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে নিহত সায়মার পরিবার। নিহতের সদস্যারা জানান,রোশনি আক্তার সায়মাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি,ননদরা প্রায় সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত।আমাদের পক্ষে যতটুক দেওয়া সম্ভব আমরা সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।কিন্তু তাদের চাহিদার কোন শেষ ছিল না। তাদের নির্যাতনের কথা আমরা মেয়ের জামাইকে জানালে,সে তখন জবাব দেয় এরকম নির্যাতন চলবে।আমার কিছু করার নাই। স্থানীয় চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার জানান,ঘটনার খবর পেয়ে আমি থানায় অবগত করি।পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে এটি পারিবারিক অথবা অন্য কোন কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।তবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ডাকাতের কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। উক্ত বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও দুই ননদকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও নিহতের ননদের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে।