মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় মহাসড়কের ওপর যানবাহন থামিয়ে মেসার্স কে.টি.আর এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং এর নামে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হলেও নিরব পোর্ট অফিসার এসএম সাজ্জাদুর রহমান। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে মিনি টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনালের পার্কিং চার্জ আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএর নিয়ম অনুসারে ইজারাদাররা শুধুমাত্র টার্মিনালে অবস্থানকারী যানবাহন থেকে পার্কিং চার্জ নিতে পারবে। আর ফেরী পারাপারের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের পাকিং চার্জ আদায় করে সরাসরি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সেই ইজারাকে পুঁজি করে মহা সড়কের পাশে অফিস বসিয়ে টোকেনের মাধ্যমে প্রতি রাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় বন্ধ করছে না সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান। সংবাদ প্রকাশের পর সরেজমিনে জানা যায়, এখন বেপরোয়াভাবে পাটুরিয়াঘাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে ঐ অস্থায়ী অফিসে ট্রাক, হ্যালো বাইক ও সিএনজি থেকে সাদা কাগজে হাতে লেখা রশিদের মাধ্যমে পার্কিং এর নামে চাঁদা আদায় করছে। ট্রাক থেকে ১০০, সিএনজি ও হ্যালো বাইক থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। যা দিন শেষে গিয়ে দাড়ায় প্রায় লক্ষধিক টাকার উপরে। এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ । রহিম খানের নেতৃত্ব দিলেও এই চাঁদাবাজির সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে রহিম খানের দূর সম্পর্কের ভাগনে হেলাল। সব কিছু জানার পরেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন অদৃশ্য কারণে চুপ করে বসে আছে। এ যেন দেখার কেউ নাই। তবে কয়েক জন গাড়ির চালকরা এর প্রতিবাদ করলেই রোডে গাড়ি চলতে দেয় না। তাদের খুঁটির জোর আছে। ৫০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা পার্কিং চার্জ আদায়ের কথা মেসার্স কে.টি.আর এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার হেলাল কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যাবসায় এখন লোকসান, আমরা কি করব ? এ বিষয়ে বড় সাহেবের সাথে কথা বলেন। বড় সাহেবের মোবাইল ফোন বন্ধের কথা জানালে তিনি বলেন,বড় সাহেব আপনার নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বলবে। বিআইডব্লিউটিএ পোর্ট অফিসার এস এম সাজ্জাদুর রহমান পুনরায় বলেন, নিয়ম বর্হিভূত ভাবে কেউ কোন ইজারা আদায় করতে পারবে না। যদি কেউ নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইজারা আদায় করে তদন্ত সাপেক্ষে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।