সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের হাবীব আহমেদ সড়ক এর হাঁচুপাড়া থেকে দক্ষিণ সৈয়দপুর লোহার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সড়কটির পিচ উঠে গেছে। ফলে সড়কে অহরহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জানা যায়, এই সড়ক ব্যবহার করে হাজারীহাট, শেখেরহাট, ব্রিকফিল্ড, মিরেরহাট, দক্ষিণ সৈয়দপুর, মধ্যেরধারী, মহানগরসহ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে।প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে ট্রাক,পিকাপ,সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট-বড় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। বৃষ্টির দিনে সড়কের গর্তে পানি জমে যাওয়ায় বেশিরভাগ গাড়ী দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দীন বলেন,দীর্ঘ দিন ধরে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে আমাদেরকে অনেক ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে। সড়কে সৃষ্টি হওয়া উচু নিচু গর্তে প্রতিদিন মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।কোন অসুস্থ রোগী ও সন্তানসম্ভবা মহিলাকে যদি জুরুরী ভাবে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় এই সড়ক ব্যবহার করে তাহলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই প্রতিমধ্যেই বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ হাসপাতালে যাওয়ার আর কোন বিকল্প সড়ক নেই।সৈদপুর ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ডের মানুষের যাতায়তের প্রধান মাধ্যম হল এই সড়ক। অত্র ইউনিয়নের কোন একটি এলাকায় যদি অগ্নিকাণ্ডেরর মত ঘটনা ঘটে তাহলে ফায়ারসার্ভিস আসার আগেই ঐ এলাকাটা পুড়ে ছাঁই হয়ে যাবে।কয়েক হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে তারা প্রতিদিন তাদের জরুরী কাজে বের হয়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি এই সড়কটি যেন অতি দ্রুত সংস্থার করা হয়। স্থানীয় সংরক্ষিত নারী সদস্য জেছমিন আক্তার বিউটি বলেন,৭ বছর ধরে খুব কষ্ট করে আমরা আসা-যাওয়া ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মত দূর্ভোগ করছি। চেয়ারম্যান মহোদয় এ বিষয়ে ঢাকা গিয়েও চেষ্টা করছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করে। সড়কের অবস্থা এতটাই বেহাল মানুষ গাড়ী ব্যবহার না করে হেঁটে এখন যাতায়াত করে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, হাবীব আহমেদ সড়কের খুব নাজুক অবস্থা। একাধিকবার ট্রেন্ডার হয়েও সেটা আবার বাতিল হয়ে যায়, এর কারণ হচ্ছে বাজেট এর সাথে জিনিসপত্রের দাম মিল না হওয়ায় কোন কন্ট্রাক্টর কাজ করছেনা। সড়কটি মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মনির হায়দার বলেন,খুব খারাপ অবস্থা, রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি,ঢাকা থেকে অনুমোদন হলে সংস্কারকাজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।দক্ষিণ সৈয়দপুর লোহার ব্রীজ হইতে হাঁচুপাড়া পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।