মেহেরপুরে রফিকুল ইসলাম ও আবুজেল নামে দুই সহদোর হত্যা মামলায় ৯ জনকে ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি পাাঁচজনের বিরুদ্ধে কোন প্রমান না পাওয়ায় আদালত তাদের বেকুসুর খালাস প্রদান করে। রবিবার দুপর ১২টার সময় মেহেরপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ^াস এ রায় দেন। দন্ডিতরা হলেন গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম, আছের হালসনার ছেলে আতিয়ার, আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন, মৃত নজির আলীর ছেলে শরিফুল, নবির উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, দবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ, আফুল উদ্দিন ওরফে আফেল সর্দারের ছেলে আজিজুল, মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ ও মুনছারের ছেলে মনি। আসামিদের মধ্যে জালাল উদ্দিন পালাতক আছে ও বাকি আসামিরা হাজিরা দিলে তাদের আটক করে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। মামলায় রাষ্টপক্ষের কৈাশুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষের কৈাশুলি ছিলেন মোঃ আতাউল হক, এ.কে.এম শফিকুল আলম ও কামরুল হাসান । মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্তা ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান। মামলার বিবরনে জানা যায় আবুজেল ও রফিকুল ইসলাম বিজিবি সদস্যদেরকে দিয়ে ফেন্সিডিল ধরিয়ে দেয়ার বিরোধে গত ৬ জুলাই ২০১২ রাত ৮ টার দিকে রফিকুলকে মারধর করে। এরপর ১৫জুলাই ২০১২ ইং তারিখ রাত ১০ দিকে আসামী মিল্টন মোবাইল ফোনে এ বিষয়টি নিয়ে আপোষ মীমাংসা করার কথা বলে দুইভাই (রফিকুল ইসলাম ও আবুজেল)কে ডেকে নেয়। এরপর দুই ভাই আর বাড়িতে ফিরেনি। এরপর ১৬ জুলাই ২০১২ ভোরে গাংনীর কাজিপুর গ্রাম মন্ডলপাড়ার লান্টুর মরিচ ক্ষেতে ২ ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় নিহতের বোন মোছাঃ জরিনা বেগম বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার নম্বর জিআর ৪৩৩/১২। মামলায় ১৭ জনের সাক্ষগ্রনহন করেন।