নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি এই ধরনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন আর শুনতে চায় না বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে আইন মেনে নির্বাচন বাতিল করে দেবে কমিশন। কারণ আমরা স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছর ভোটে অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার কথা তুলে ধরে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার মতোই অনড় অবস্থানে থাকবে কমিশন। আইন সংস্কারে ইসি যেসব পরিবর্তন চেয়েছে, তার কিছুই কাটছাঁট হয়নি। সংশোধিত আইন পাস হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সহায়ক হবে।’
ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি এই ধরনের অভিযোগ আর শুনতে চায় না কমিশন- এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের আস্থা ফেরানোর কাজ চলছে। শতভাগ বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করা অসম্ভব ব্যাপার। আইন প্রয়োগের মানসিকতা আছে ইসির। আইন ক্ষমতা দিলে সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে বাতিল করে দেবে কমিশন।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ভোট বাতিলের ক্ষমতাসংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাবে আইন মন্ত্রণালয়ের সায় মিলেছে বলে জানিয়েছে ইসি। এর ফলে ভোটে অনিয়ম করে কেউ জয়ী হয়ে হলে এবং সেই নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরও তা বাতিলের ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম হলেও ফলাফলের গেজেট হওয়ার পর আরপিওতে কিছু করার ক্ষমতা নেই কমিশনের। এই ক্ষমতা পাওয়ার জন্যই আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ভোট বাতিলের ক্ষমতা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয়ের যারা বৈঠকে ছিলেন তারা নির্বাচন কমিশনের জাস্টিফিকেশনে খুশি। তারা বলেছেন, কোনো অসুবিধা নেই। এখন কেবিনেটে যাবে। পরে পাস হবে সংসদে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র বা দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে ভোটের কারিগরি সহয়তা নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে বিবেচনা করবে কমিশন। সময় মতো সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।