ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার ধামরাই, রায়েরবাগ ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার গুনপালদি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে হাফিজুল শেখ (৩৮), নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাও থানার ভিটি পরমেশ্বদী গ্রামের তনু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৯), ঢাকার ধামরাই থানার কেলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আমির হোসেন (৩০), ধামরাই এর শাশন গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে জাকির হোসেন রাজা (৩৪), মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার ডাহিরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশসুত্রে জানা যায়। এব্যাপারে পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৮ জুলাই গাবতলী গরুর হাট থেকে গরু বিক্রির ১৯ লাখ টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন গরু ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন (৫০), কিসমত আলী (৫৩), হানিফ (২৮) ও কালু (৩০)। এসময় গাবতলী ব্রিজ থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে উঠেন তারা। পথিমধ্যে বাসটি আমিনবাজার এলাকা পার হলে বাসে যাত্রীবেশে থাকা ১৩ থেকে ১৪ জনের একটি ডাকাত দল ওই ব্যবসায়ীদের হাত, পা ও চোঁখে বেঁধে মারধর করে তাদের কাছে থাকা ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় চলন্ত বাস থেকে তাদের ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পরে ১৩ জুলাই ভুক্তভোগী গরুর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গতবছর সাভার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় ইতিপূর্বে আগে আমরা সেই বাস চালক জসিমকে গ্রেফতার করি। এর আগে একই ঘটনায় নাছির নামে অপর এক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে আরো ৫ আসামীকে সেই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।