‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত ৫ দিনের কর্মসূচির শেষ দিন বুধবার ঢাকা মহানগরে আসনভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গুচ্ছ আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা-১১ আসনের নতুন বাজারে (ভাটারা থানা সংলগ্ন) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এসময় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামাত সম্প্রতি তাদের পদযাত্রার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা তাদের পুরাতন চরিত্র। যখনই বিএনপি-জামাত মাঠে নামে তখনই এদেশের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি এদেশের জনগণই বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ। এদেশের সাধারণ মানুষকে তারা বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে শিকার বানানোর চেষ্টা করে। সেই প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যমান। যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিপীড়িত, দুঃখী, নিম্নমধ্যবিত্ত, অস্বচ্ছল খেটেখাওয়া মানুষেরা শান্তির মুখ দেখছে, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। আমরা করোনা মহামারিকে মোকাবিলা করেছি, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সাধারণ মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার এবং নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ঠিক তখনই বিএনপি-জামাত নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা ও অপরাজনীতির উপর ভর করে তারা আমাদের সাধারণ মানুষকে আবারও শিকার বানানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন স্থানে তারা অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল তারা বিরোধী দলকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দিত, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে আহত করেছে, হত্যা করেছে। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা কেন শান্তি সমাবেশ, মিছিল করছি। এই শান্তি সমাবেশ দেশ ও জাতির কল্যাণে। আপনারা জানেন বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার মধ্য দিয়ে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, যে সকল বিদেশী বন্ধুরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে দেখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-এদেশের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিএনপি-জামাত সৃষ্টি করেছিল। এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিএনপি-জামাত ঘটিয়েছিল।