বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক, ক্লু-লেস হত্যাকান্ড ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ খিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ০৯:৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর ইস্পাহানী ২নং রোডস্থ জনাব আমিনুল ইসলামের বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ কাউসার খান (৪৭)’কে একই মালিকের পার্শ্ববর্তী বাড়ির কেয়ারটেকার নজরুল গার্ড রুমের ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মোঃ কাউসার এর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি মোঃ কাউসার এর ছেলেকে খবর দেন। মোঃ কাউসার এর ছেলে উক্ত স্থানে এসে দেখতে পায় যে, তার বাবা মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ উক্ত স্থানে এসে সুরতহাল প্রস্তুতপূর্বক লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরন করেন। উক্ত ঘটনায় নিহত কাউসার এর ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৪ তারিখ-১০ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ; ধারা-৩০২/৩৪/৩৮০ পেনাল কোড। প্রাথমিকভাবে মৃত কাউসার’কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করা হয়। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডের সংবাদ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব বর্ণিত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় ১২ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকায় রাজধানী ঢাকার রমনা থানাধীন কাকরাইল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকায় নিঃসংশভাবে কেয়ারটেকার হত্যাকান্ডের সাথে সরাসারি জড়িত মোঃ মাসুদ (২৪), পিতা-মোঃ ওহাব শেখ, সাং-চুকাইড়, থান-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী কেয়ারটেকার হত্যাকান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এসময় তার নিকট হতে মৃত মাসুদ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ একজন সুযোগ সন্ধানী চোর। সে গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে ভিকটিম কাউসারের রুম হতে টাকা চুরি করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম কাউসারের রুমে প্রবেশ করে। কিন্তু ভিকটিম কাউসার সজাগ হয়ে আসামী মাসুদ’কে চিনে ফেলায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে আসামী মাসুদ কেয়ারটেকার কাউসার’কে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পলিয়ে যায়। এসময় আসামী মাসুদ ভিকটিম কাউসারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সাথে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য আসামী মাসুদ ও মৃত কাউসার একই থানার পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা এবং তারা পরস্পর পূর্ব পরিচিত বলে জানা যায় । গ্রেফতারকৃত আসামী গত ০১ বছর যাবৎ হলিমাইন্ড মাদক নিরামায় রিহ্যার সেন্টার, মালিবাগ, ঢাকায় কাজ করে আসছিল। সে এরপূর্বে নবাবপুর এলাকায় একটি পার্সের দোকনে কাজ করেছিল এবং সেখান থেকে টাকা চুরির দায়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
###