নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পালন করা হয় পিঠা উৎসব। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসবে অংশ নিতে সকালেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ। একদিকে যখন নানান আয়োজনে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে চলছিলো পিঠা উৎসব অন্যদিকে একই সময়ে হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীদের সেবা কার্যক্রমে ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজও হাসপাতালে সেবা নিতে আসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রোগীরা। দুপুরে আউটডোরে নেই কোন ডাক্তার। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রুমে ঝাকঝমক পূর্ণ ভাবে পালন করা হচ্ছিলো পিঠা উৎসব-২০২৩। রোগী ও সাধারণ জনগনের নানান প্রশ্নে মুহুর্তেই হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডা. খান মোহাম্মাদ নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, এটি কোনো সরকারি প্রোগ্রাম নয়। এটি একটি ঘরোয়া প্রোগ্রাম। সেবা কার্যক্রম ব্যাহত রেখে তিনি অফিস টাইমে হাসপাতালে পিঠা উৎসব করতে পারেন কি না প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটাতো সব জায়গায় করা যায়। আমরা তো কোনো সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখিনি। হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আমরা অনেক সময় বসি এভাবেই আমরা ঘরোয়াভাবে পিঠা উৎসব করেছি। আমরা কোনো সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করেতো আমরা করিনাই। এটা কোনো নেগেটিভ ভাবে নেওয়ার কিছু নাই। প্রসঙ্গত, পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগর হোসেন, সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান সজিব সহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ।
###