নরসিংদীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসবের অধিকাংশের নেই অনুমতিপত্র।বেশির ভাগ ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন না। নেই প্রশিক্ষিত সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট। এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রক্ত, মলমূত্র, কফসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন অদক্ষ কর্মীরা এ ছাড়াও আল্ট্রা পরিক্ষা ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিককে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট একটার সাথে অপটার কোন মিল নেই। তাই প্রায়ই এসব পরীক্ষার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেবা নিতে এসে রোগীরা নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়াও সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারগন হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বেশির ভাগ সময় বেসকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগি দেখার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে অনুমোদনহীন বা নবায়নহীন অথবা পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় বেশ কয়েকটিকে জরিমানা করেছে।সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় উপজেলায় ৪৮টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ৭৯টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।এদের মধ্যে শুধু সদর উপজেলায় বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৩৬টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ৪৪টি। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, সংখ্যা কিছু বেশি হতে পারে। এর মধ্যে বেশির ভাগ হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমতিপত্র নেই। যেগুলোর অনুমতিপত্র আছে, তার মধ্যে বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমতিপত্র নবায়ন করা হয়নি। সম্প্রতি অনলাইনে অনুমোদনপত্র ও নবায়নের আবেদন নেওয়া হচ্ছে।সূত্রটি আরো জানায়, ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন বিধিমালার অন্যতম শর্ত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে নির্দিষ্ট শয্যা (১০/১৫/২০) থাকতে হবে। একটি প্যাথলজি বিভাগ, একটি তথ্যসেবা দানকেন্দ্র থাকতে হবে। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য তালিকার বিলবোর্ড থাকতে হবে, আগত রোগীদের জন্য একটি অপেক্ষমাণ কক্ষ থাকতে হবে, আলাদা আলাদা নমুনা সংগ্রহের জায়গা থাকতে হবে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড-কেবিন ও টয়লেট থাকতে হবে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক একজন দায়িত্বরত চিকিৎসক, তিনজন সেবিকা ও একজন টেকনোলজিস্ট থাকতে হবে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনুমোদনহীনসহ বেশির ভাগ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিধিমালার বেশির ভাগ শর্ত মানা হয়নি। হাসপাতালগুলোতে দিনের যেকোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে (কয়েক ঘণ্টার জন্য) সেবিকা ও টেকনোলজিস্ট পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের দেখা মেলা ভার। তাই বেশির ভাগ সময় চিকিৎসকের কাজ করানো হচ্ছে সেবিকা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দিয়ে। এমনকি কোনো কোনো সময় একজনই একসঙ্গে চিকিৎসক, সেবিকা ও টেকনোলজিস্টের দায়িত্ব পালন করেন।এ বিষয়ে মনোহরদীর হাসিনা নামে এক মহিলা বলেন,আমি একজন হার্টের রোগি মনোহরদী একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পেটের ব্যাথানিয়ে গেলে আল্ট্রাসহ বিভিন্ন পরিক্ষাকরে আমার পেটে টিউমার আছে এখন অপরেশন করতে হবে বলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আমার নিকট থেকে বিভিন্ন রোগের প্যাথলজি রিপোর্টের জন্য ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা যোগার করার কথাবলে তাদের হাতথেকে রক্ষা পায়। পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এসে ডা. মিজানুর রহমানকে দেখোনোর জন্য টিকেট সংগ্রহ করে উনার কক্ষে গেলে তিনি এখন জেলা হাসপাতালে তত্তাবদায়ক হওয়ায় এখন আর রোগি দেখেন না বলে জানালে চলে আসি এবং নরসিংদী ন্যাশালান হাসপাতালে ডা. আজিজ সাহেবকে ৮ শত টাকা রিজেট দিয়ে দেখালে উনার আরো ৩ হাজার টাকার বিভিন্ন পরিক্ষা দেয়। পরিক্ষার রিপোট দেখানোরজন্য পরদিন আসতে হয়। নতুন রোগি ও রিপেজেন্টিটিব নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে যার ফলে বহু কস্ট করে সন্ধার সময় পরিক্ষার রিপোর্ট দেখালে পেটে টিউমার নাই বলে জানায় ডাক্তার এবং একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. দেখাতে বলে তখন জেলা হাসপাতারে সামনে আল বারাকা ডায়াগনিক্টক সেন্টারে ডা. নাজমাকে দেখানোর জন্য গেলে প্রথম দিন দেখাতে পারনা পরদিন দেখানোর জন্য এসে প্রথমে সিরিয়াল দেয় কিন্ত তাদের পরিচিত লোকদের সিরিয়াল আগে দিয়ে সর্ব শেষ আমার সিরিয়াল তখন বিকাল ৪ টা আমি ডা.নাজমাকে দেখায় উনাকে আগের পরিক্ষার রিপোর্ট দেখায় কিন্ত ঐ রিপোর্টে চলবেনা আবার আল্ট্রাসহ ৪ হাজার টাকার পরিক্ষা করতে হয় এবং পরদিন আরাব রিপোর্ট দেখানোর জন্য আসলে উনার সাথে রোগের রিষয়ে কোন কথাই বলা যায়নি ধুরধুর করে এক পুজা ঔষধ লেখে দেয় কিন্ত আমার ব্যাথা আরো বারতে থাকে আমি আবার জেলা হাসপাতালে ডা. মিজানুর রহমানকে দেখাতে টিকিট করে দেখাতে পারি নাই উনি জেলা হাসপাতালের সাথে ইউনাইটেড হাসপাতালে ৭ শত টাকা বিজিট দিয়ে আগের পরিক্ষার রিপোট দেখালে আবার নতুন করে আল্ট্রাসহ প্রায় ২ হাজার টাকার পরিক্ষা দেয় পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার আগেই ডা. চলে যায় কোন ঔষধ দেয় নাই । তিন দিন পর সোমবার আসতে বলে রিপোর্ট নিয়ে তিনদিন পর আসলে ডা. ঢাকায় আছে আজ আসবেনা পরদিন আসতে বলে পরদিন রিপোর্ট নিয়ে আসলে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে দরজায় দারানো একজন নাস নাম রুবি উনি কিছুতেই ডাক্তারের রুমে ডুকতে দিবেনা কারন আপনি কোন হাসপাতাল থেকে পরিক্ষা করেছি তার প্রমান চান তিনি বললেন আমিতো আপনাদের হাসপাতাল থেকেই পরিক্ষা করেছি বলার পর কাগজ চাইলেন (টোকেন)আলাদা কাগজে রেখে টোকেন হাসপাতালে রিসিভে রেখে দেয় পরে অন্য একজনকে দিয়ে টোকেন এনে দিয়ে রিপোট দেখালে গেলে আবার নতুন রোগি ও রিপেজেন্টটিটিপ ডাক্তারে রুমে আমার আর কিছুই করার নেই সবার পরে তাকে ডাক পরলো ততখনে সন্ধা হয়ে আসছে এর পর দেখালে উনি কিছু ঔষধ লিখে দেয় এবং আবারো এক সপ্তাহ পর দেখানো জন্য আসতে বলে।প্রথম পরিক্ষায় টিমারের কথা বলা হলেও দেখা যায়, তাঁর এ ধরনের কিছুই হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রিপোর্টে যে চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া আর রক্ত পরীক্ষাটি কোনো চিকিৎসকের মাধ্যমে হয়নি।স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কমিশন চুক্তিতে এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হয়। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নষ্ট কিংবা নেই এমন অজুহাতে রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠান। আর এই সুযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রোগীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করে। যদি ভুলে কেউ অন্য কোনো হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সেবা নেয় তাহলে বিভিন্ন ক্রটির অভিযোগে ফের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পরীক্ষা করাতে হয়।নরসিংদী ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হলি ক্রিসেন্ট প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক নোমান মো. সনেট বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন লাগে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর আরেক নাম হচ্ছে হয়রানি। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় যে অভিযান চালানো হয়, সেটা প্রতিনিয়ত হওয়া দরকার।নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার সুমন বলেন,বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন অনলাইনের মাধ্যমে দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আমরা তদারক করি। তবে লোকবল একেবারে কম থাকায় তা সব সময় করা সম্ভব হয় না। মাসে এক-দুইটা হাসপাতাল তদারক করার সুযোগ হয়। এ ক্ষেত্রে আলাদা একটি ফোর্স করা দরকার।নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন,সরকারি চিকিৎসকদের সঙ্গে ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কতটু সম্পর্ক আছে, আমার জানা নেই। তথ্য-প্রমাণ ও লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
###