তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জবাসীর জনজীবন। ৪র্থ দিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা। প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত মানুষের জীবনটাযাত্রা। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরেও জেলায় দেখা মেলেনি সূর্যের। অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছে সাধারণ জনগণ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশার জলবিন্দু। সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। জীবিকা অর্জনে তারা শীতের মধ্যেও কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়েছে সারা গোপালগঞ্জ। কিন্তু গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে এসকল নিম্নশ্রেণি, নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধারণ মানুষ। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে শীত নিবারণে কম্বল ও গরম বস্ত্র বিতরণ চলমান রয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে শীতের দাপটে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। যেখানে মা ও শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে এমনটাই জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙার কৃষক মুন্সী শেখ শিহাব উদ্দীন বলেন, ‘তীব্র শীতে জমিতে যেতে পারছি না। এখন ইরি ধানের মৌসুমে জমিতে কাজের চাপ বেশি। কিন্তু অসহ্য শীতে শ্রমিকেরা কাজ করতে চাচ্ছে না। এতে কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।’
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা নিম্নমুখী। আগামি সপ্তাহেও জেলার তাপমাত্রা আরো কমবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।’
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতা মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেন, ‘ শীতের শুরুতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে। শীতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’