সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এর নামে দুদকে মামলা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মাদ সরদারের কন্যা রাফিজা খাতুন এই মামলাটি করে। সে আদালতে অভিযোগটি দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। যাহার মামলা নং পিটিশন ০৪/২০২২ এবং যার ধার্য্য তারিখ আগামী ২৮/১১/২০২২। এর আগে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় আরো একটি আদালতে মামলা করে ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী জেলার সদর উপজেলার ৮ নং ধুলিহর ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোছা. সাফিয়া খাতুন। তিনি জানায় আমরা দীর্ঘ ৯০ বছর যাবৎ আমার পূর্বপুরুষ ও আমরা এই জমিতে বসবাস করছি এবং বর্তমান সরকারের সময়ে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলায় বসবাস করিতেছি এবং আমার পিতা মৃত: মোহাম্মদ সরদার জিবীত কালীন সময়ে এই গ্রামে সুনামের সাথে বসবাস করে গিয়েছেন। তার মৃত্যুর পর আমরা চার বোন (১) হাফিজা খাতুন (২) রাফেজা খাতুন (৩) সুফিয়া খাতুন (৪) সাফিয়া খাতুন, এই জমিতে যার খতিয়ান নং-৪৯৯৪, দাগ নং-২২০৬২, ভূমির পরিমাণ-২৪ শতাংশ, মৌজা-ধুলিহর এ অতি অভাব কষ্টের মধ্য দিয়ে ঝুপড়ি ঘর বেধে সুনামের সাথে অদ্যাবধি উক্ত জমিতে বসবাস করিতেছে। কিন্তু এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এর আমার পরিবারের সদস্যদের সুখ শান্তি চোখে মুখে ফুটছে। সে কারণে আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন রকম হয়রানী করছে এবং উক্ত জমিতে অবস্থিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার মুজিব শত বর্ষের ঘর থেকে উৎখাত করতে বিভিন্ন রকম চক্রান্ত করে যাচ্ছে এবং অত্র গ্রামের একাধিক পরিবারকে তারা বিভিন্নভাবে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে বিভিন্ন রকম হয়রানী করছে। এছাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আমাদের নিকট থেকে মুজিব শতবর্ষের উপহারের ঘর দেওয়ার জন্য ও জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নামে এবং উক্ত ঘর মজবুদ ভাবে তৈরি করে দেওয়ার জন্য নিজেও ঠিকাদারের লোকদের মাধ্যমে সিমেন্ট, রং ও মেঝেতে মাটি ভরাটের জন্য দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এবং আমাদের ঘরের মৌখিক ভাবে দখল দিয়েছে, যে ঘর দুইট বর্তমানে আমরা বসবাস করিতেছি। পরে আরো টাকা দাবী করছে কিন্তু আমরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশকরায় আমাদের বিরুদ্ধে নিজে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি ও হয়রানী করে যাচ্ছে। আমরা কোন উপায় না পেয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরাতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জামির আলী, পারুল বেগম, মনিরুল ইসলাম সহ চারজনের নামে একটি পিটিশন মামলা করেছি। মামলা নং-১৬৯৯/২২। মামলা করার পর বিজ্ঞ আদালত সাতক্ষীরা সদর থানাকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যাহার স্মারক নং-২৪৮৩/ফৌ: তাং ২১/০৮/২০২২ ইং। ভুক্তভোগী জানায় আমি মামলা করার পর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সদর সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ অফিসের সার্ভেয়ার মো. বরকতউল্লাহ কোন তদন্ত ছাড়াই গত ২০/১০/২০২২ ইং তারিখে আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি মনগড়া রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা, মামলার স্বাক্ষী ও এলাকাবাসী কাছে কিছু জানেনি। এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা ইতিপূর্বে গত ১৬/০৮/২০২২ তারিখে উক্ত এলাকার গ্রামবাসীরা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাফেজা, মো. আব্দুল মান্নান, আব্দুল আজিদ, পবিত্র সাধু সহ প্রায় ১০-১৫ জন গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো বলে জানা গেছে। যার রেজিষ্ট্রি নং-২০১/৩১-০৮-২০২২ ইং। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আরো জানায় আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে পারি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা প্রশাসক সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।