সাত কোটি আট লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে সোমবার দুপুরে গাজীপুর শহরের স্থানীয় এক পত্রিকা অফিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার পাড়া শাইলদিয়ান এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে এহতেশামুল হক। সংবাদ সম্মেলনে এহতেশামুল হক বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর থানার নান্দিয়া সাঙ্গুন এলাকার মো. আবুল কালাম (৫০) ঢাকা ওয়াসায় মিটার রিডার পদে চাকুরি করেন। তার এক শ্যালক রেদুয়ানুর রহমানও একই পদে ওয়াসার সাভার জোনে চাকুরি করেন। তারা চাকুরিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৭ কোটি আট লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এহতেশামুল হক আরো বলেন, আবুল কালাম, শ্যালক রেদুয়ানুর রহমান ও শ্যালিকা নাফিজা আক্তার যোগসাজশে ৫০% মুনাফায় ঢাকায় আবাসিক প্রকল্প গ্রহণের জন্য এবং শেয়ার মার্কেটে ব্যবসায় লগ্নি করবেন মর্মে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন। এছাড়াও ওয়াসা, রেলওয়েসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকুরি দেয়ার আশ্বাসে এলাকার চাকুরি প্রত্যাশিতদের কাছ থেকে আমার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে তা ওই প্রতারকরা হাতিয়ে নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চাকুরি না হওয়ায় এলাকাবাসী আমার কাছে তাদের টাকা দাবি করে। পরে আমি তাদের কাছে ওই টাকা দাবি করলে তারা নানা তালবাহানায় কালক্ষেণ করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট থানায় একাধিক অভিযোগ করেছি। এছাড়া ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এমতাবস্থায় চাকুরি প্রত্যাশীদের প্রচন্ড চাপের মুখে আমি আমার মাছের ও গবাদিপশুর খামারসহ ফসলী জমি বিক্রি করে তাদের টাকা ফেরত দিতে হয়। এখন আমি প্রায় নি:স্ব হয়ে পড়ি। তাদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তারা টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবিতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। যাতে তাদের মাধ্যমে আর কেউ এভাবে প্রতারিত না হয়।